রোববার (১৪ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর এলাকায় দেয়াল ধসে নুরে আলম নান্টু (৩৫) নামে একজন নিহত হন। তিনি গাইবান্ধার লাল মিয়ার সন্তান।
রাত আড়াইটার দিকে নগরের ৯নং ওয়ার্ডের ফিরোজশাহ কলোনির ১ নম্বর ঝিল এলাকায় পাহাড় ধসের পর পৌনে ৫টার দিকে ১ জন এবং ভোরে ২ জন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- নুরজাহান (৪৫), তার আড়াই বছরের মেয়ে ফয়জুন্নেসা এবং নুরজাহানের মা বিবি জোহরা (৬৫)। তাদের বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়।
পাঁচলাইশে দুর্ঘটনার বিষয়ে বায়েজিদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ের মাটি নরম হওয়ায় বড় একটি গাছ শিকড় ভেঙে নিচে পড়ে যায়। এতে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা কয়েকটি কাঁচা-পাকা বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধসে পড়ে দেয়াল।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর নুরে আলম নান্টু মারা যান বলে বাংলানিউজকে জানান চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া।
ফিরোজশাহ কলোনিতে পাহাড় ধসের বিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা আকবরশাহ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক লুৎফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভারী বর্ষণে পাহাড়ের মাটি সরে পাদদেশে থাকা দুইটি টিনশেড কাঁচাঘরের ওপর পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রেজাউল কবির বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড় ধসে নিখোঁজদের মধ্যে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট।
এদিকে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফোরকান এলাহি অনুপম।
তিনি বলেন, রহমান নগর এলাকায় নিহত নান্টুর মরদেহ চমেক হাসপাতাল থেকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে ফিরোজ শাহ এলাকায় নিহত ৩ জনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকেই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ৮০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এমআর/এসকে/এইচএ/টিসি