শনিবার (১৩ অক্টোবর) চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটি প্রতিক্রিয়াশীল চিহ্নিত সরকারবিরোধী চক্র চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ অক্টোবর দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকা সূত্রে জানা যায়- মামলা ইতিমধ্যে থানা পুলিশ ও সিআইডি কর্তৃক তদন্ত হয়েছে। কোথাও আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম কাজ করছে। আমাদের ধারণা সুষ্ঠু তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মরহুম মোজাফফরের পরিবার বিভিন্ন প্রলোভনে প্রভাবিত হওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অপরাধীদের বিচার দাবি করে আসছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককে ৪ বছর পূর্বের ঘটনায় জড়িয়ে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান কর্মকাণ্ড থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্ঠা করা হচ্ছে।
এই ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকলে চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী পরিবার তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
নগরের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব সমিতির সভাপতি, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়শান্ত বিকাশ বড়ুয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস ইসলাম খান, রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আব্দুল আলিম, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সেন্টু, প্রচার সম্পাদক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হক বাবুল, চন্দনাইশ পৌরসভা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন শিবলী, আবুল কালাম, ইদ্রিচ মেম্বার, আবুল কালাম, শওকত হোসেন ফিরোজ, আবুল কাশেম বাবলু, পৌর কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক চৌধুরী, আব্দুল রহিম, শ্রমিক লীগ নেতা শাহাবুদ্দীন, দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামেলা খানম রূপা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এসবি/টিসি