ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঘুম নেই মৃৎশিল্পীদের চোখে

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
ঘুম নেই মৃৎশিল্পীদের চোখে শেষ মুহূর্তে প্রতিমায় তুলির আঁচড় দিচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: মৃৎশিল্পীদের চোখে ঘুম নেই। পূজার জন্য গড়া মায়ের মূর্তি সাজাতে ব্যস্ত সবাই। রং-তুলির আঁচড়ে প্রাণ পাচ্ছে মায়ের প্রতিমা। পরানো হচ্ছে শাড়ি, গয়না।

পঞ্জিকা মতে, দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে রোববার (১৪ অক্টোবর)। পঞ্চমী তিথির এ দিনে হবে দেবীর বোধন।

তাই সাত্ত্বিক পূজার আয়োজনকারীরা মণ্ডপে প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রতিমা। চলছে সাজসজ্জার কাজ।

নগরের সদরঘাট, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, লাভলেইন, গোয়ালপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তে প্রতিমায় তুলির আঁচড় দিচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। সময় না থাকায় রাত জেগেও চলছে প্রতিমা সাজানোর কাজ।

মণ্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ।  ছবি: উজ্জ্বল ধরমৃৎশিল্পীরা বানিয়েছেন দু’ধরনের মূর্তি। এর মধ্যে আছে অজন্তা ধাঁচের মূর্তি যেগুলো ওরিয়েন্টাল প্রতিমা হিসেবে পরিচিত। আবার চিরায়ত বাঙালির মাতৃরূপের প্রতিমাও আছে। সাধারণত ষষ্ঠী তিথির রাতে মণ্ডপে প্রতিমা বসানোর কাজ শুরু হয়।

মৃৎশিল্পী সমীর পাল বাংলানিউজকে জানান, অজন্তা ধাঁচের মূর্তির চাহিদা বেশি। এ ধরণের মূর্তিতে শাড়ি, অলংকার ও অঙ্গসজ্জা করা হয় মাটি এবং রং দিয়ে। আর অন্য প্রতিমার শাড়ি, অলংকার, সাজসজ্জার উপকরণ সবকিছু আলাদাভাবে কিনে নিতে হয়।

নগরের হাজারী লেইন, পাথরঘাটা, ঘাটফরহাদবেগ, সদরঘাট, নালাপাড়া, রাজাপুকুর লেইন, চট্টেশ্বরী বাড়ি, মোমিন রোডসহ বিভিন্ন মণ্ডপে চলছে পূজার আয়োজন।
মণ্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ।  ছবি: উজ্জ্বল ধরএদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানের পূজামণ্ডপগুলোতেও এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বানানো হচ্ছে মণ্ডপ, তোরণ। বিভিন্ন জায়গার মন্দিরগুলো সাজছে বাহারি সাজে। আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটকের মধ্য দিয়ে বর্ণিলভাবে উৎসব পালনের আয়োজন চলছে।

বোয়ালখালী, পটিয়া, রাউজানে এখন উৎসবের আমেজ। স্থানীয় পূজা কমিটির সদস্যরা রাত জেগে মণ্ডপ বানানোর কাজ তদারকি করছেন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, নগরের ২৫৫টি পূজামণ্ডপে এবার সাড়ম্বরে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা শাখার আওতাধীন ১৫টি উপজেলায় ১ হাজার ৮২৫টি শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।