ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কারাগারে বিপ্লবী তারকেশ্বরের ম্যুরাল নির্মাণের দাবি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
কারাগারে বিপ্লবী তারকেশ্বরের ম্যুরাল নির্মাণের দাবি  বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম: বন্দিদের মুক্তি ও ব্রিটিশ প্রশাসন অচল করার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে একজন বিপ্লবী নেতা তারকেশ্বর দস্তিদার। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি রাত ১২টায় চট্টগ্রাম কারাগারে মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারকেশ্বরকে ব্রিটিশ শাসকরা একই মঞ্চে ফাঁসি দেয়। কারাগারের সেই ফাঁসির মঞ্চে মাস্টার দা’র স্মৃতিচিহ্ন থাকলেও বসানো হয়নি তারকেশ্বর দস্তিদারের ম্যুরাল, পাথরলিপিতেও নেই তার নাম। 

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।

লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক বলেন, দুই মহান বিপ্লবীর সেই দিনকে স্মৃতিবহ করে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বিপ্লবীদের ইতিহাস তুলে ধরতে বাংলাদেশ সরকার ফাঁসির মঞ্চটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণ করে রেখেছে।

 

‘সেখানে তারকেশ্বর দস্তিদারের স্মৃতিচিহ্ন ধরে রাখতে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আবেদন জানানো হলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় আমরা হতাশ হয়েছি। গত ২৬ আগস্ট জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েও কোন আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

এভাবে চলতে থাকলে একদিন ইতিহাস পথ হারাবে। বিপ্লবী নেতা তারকেশ্বর দস্তিদার যেন ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে না যায়, সেজন্য তাঁর ম্যুরাল নির্মাণ ও পাথরলিপিতে নাম সংযুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। ’ 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে আগামী এক বছরের মধ্যে নেতাজী সুভাষ বসু ও মাস্টারদা সূর্য সেনের সাথীসহ সকল বিপ্লবীদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিটি থানা এবং ইউনিয়নভিত্তিক নাম সম্বলিত বই প্রকাশ করা হবে। এই বই সরকারি গেজেটভুক্ত করা হলে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে সকল বিপ্লবীর স্মৃতি রক্ষা করা সম্ভব হবে। নতুন প্রজন্ম এসব ত্যাগী বিপ্লবীর নাম জানতে পারবে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গবেষক জামাল উদ্দিন, সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্ত্তী, নারায়ণ মজুমদার, বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অঞ্জন কুমার চৌধুরী, বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পংকজ চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চ্যানেল আই ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ, অরুণ মল্লিক, তারানাথ চক্রবর্ত্তী, সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী মানিক, তপন ভট্টাচার্য, কাজল দত্ত, উত্তম বিশ্বাস, বিজয় শংকর চৌধুরী, সুরেশ চৌধুরী, রাজশ্রী মজুমদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।