বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার ২২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) একনেক সভায় পাস করে দিয়েছেন। চসিকের সক্ষমতা, সামর্থ্যের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝিয়ে বলেছি।
সিটি মেয়র আরও বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরের সড়ক ও যোগযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মিত হলে নগরে আর যানজট থাকবে না বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে জানুয়ারি ২০১৮ থেকে জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় ৩৩২ দশমিক ০৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তার উন্নয়নকাজ করা হবে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। প্রকল্পে ১৩৯ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকায় অ্যাপ্রোচ রোড উন্নয়নসহ ৩৭টি ব্রিজ নির্মাণ এবং নগরের বায়েজিদের অক্সিজেন এলাকার কুলগাঁও ও বন্দরের টোল প্লাজা এলাকায় বাস-ট্রাক টার্মিনালের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকায় ৩ হাজার বর্গমিটার অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। সাড়ে ১৬ কোটি টাকা টাকায় ২১৫ মিটার কালভার্ট নির্মাণ, ২৫ কোটি টাকায় ২৫ হাজার বর্গমিটারের ইয়ার্ড নির্মাণ এবং ৮ দশমিক ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। ভূমি ক্রয়ে ব্যয় হবে ২৬০ কোটি টাকা এবং ৩২ হাজার ৮০১ বর্গমিটার ভূমি উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। ফিজিক্যাল ও প্রাইস কন্টিনজেন্সিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি টাকা।
চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী জসীম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, নগরের যানজট নিরসন, শহরের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপর্ণ রাস্তার কাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অসংখ্য বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে। এসব যানবাহনের জন্য কোন টার্মিনাল না থাকায় নগরে যানজট লেগে থেকে। এসব বিষয় বিবেচনায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরের যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এসবি/টিসি