ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন ভবনে ফিরে এলো বিদ্যালয়ের প্রাণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
নতুন ভবনে ফিরে এলো বিদ্যালয়ের প্রাণ একঝাঁক দেবদূতের হইচই আর কোলাহলে মেতে ওঠে পুরো এলাকা। ছবি: সোহেল সরওয়ার 

চট্টগ্রাম: ‘ছাদ ভেঙে ছাত্র-শিক্ষক মরার উপক্রম ছিল জীর্ণ ভবনে। সেই ভবন ভেঙে দৃষ্টিনন্দন দোতলা ভবন করেছে সরকার। এখন আর ভয় নেই। খোলামেলা পরিবেশে পড়াশোনা-খেলাধুলা দু’টোই চলছে সমানে।’

পটিয়ার পূর্ব মালিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হামিদ এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন বাংলানিউজকে।

জীর্ণ ভবনে সমস্যায় জর্জরিত সেই বিদ্যালয়টি এখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী বিদ্যালয়টির উন্নয়নে আন্তরিক ভূমিকা রেখেছেন।

২০১৬ সালের ২০ আগস্ট তিনি ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন একাডেমিক ভবনটি উদ্বোধন করেন। লবণাক্ততার কারণে একে একে দুইটি গভীর নলকূপ বসিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, গ্রামীণ এ জনপদের সড়কগুলোর উন্নয়নে করেছেন। আগে বর্ষা মৌসুমে এক হাঁটু কাদা মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হতো।

নতুন ভবনে ফিরে এলো বিদ্যালয়ের প্রাণসংসদ সদস্যের প্রধান উন্নয়ন সমন্বয়কারী দেবব্রত দাশ দেবু বাংলানিউজকে জানান, জিরি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অজপাড়াগাঁয়ে পূর্ব মালিয়ারা স্কুলটি প্রথমে বেসরকারিভাবে চালু করেছিলেন নূর আহমদ চেয়ারম্যান। এরপর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যালয়টিকে সরকারি করে। সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী এখানে সাইক্লোন সেন্টার কাম বিদ্যালয় ভবনটি করে দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে।    

ছাদ ভেঙে ছাত্র-শিক্ষক মরার উপক্রম ছিল জীর্ণ ভবনে।

প্রাক-প্রাথমিকসহ ছয়টি শ্রেণিকক্ষের এ বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। আগে ছাত্র ছিল চার শতাধিক। পাশেই একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ছাত্রসংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। তবে যারা আছে বেশ প্রাণবন্ত তারা। পড়ার সময় পড়ালেখা, খেলার সময় খেলাধুলায় মেতে থাকে সবাই।

দোতলা ভবনের নিচতলার একপাশের অংশ খোলা রাখা হয়েছে। ছুটির ঘণ্টা, টিফিন ছুটির ঘণ্টা বাজলে সেটি পরিণত হয় খেলার মাঠে! একঝাঁক দেবদূতের হইচই আর কোলাহলে মেতে ওঠে পুরো এলাকা।  

প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে পাঠদান করছিলেন সুলতানা বেগম। নিচতলার প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে পাঠদান করছিলেন সুলতানা বেগম। বর্ণমালা, বাঙালি মনীষীদের ছবি, রেখা-লেখায় সুসজ্জিত এ কক্ষে পড়াশোনায় মগ্ন ২০-২৫ জন ছেলেমেয়ে। কেউ উপুড় হয়ে বসে কচিহাতে লিখছে। কেউ আবার সুর করছে পড়ছে ছড়া।

স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়টির দেখভাল ও সুষ্ঠু পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করছেন উল্লেখ করে মো. মহিউদ্দিন জানান, একজন দপ্তরি দরকার। মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টি মাথায় রেখে আরও কয়েকজন শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া গেলে পড়ালেখার মান আরও উন্নত হতো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এআর/টিসি          

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।