বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ইনডিপেনডেন্ট মার্কেটিং ক্লাবের (আইএমসির) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল বাজারজাতকরণ বিষয়ক প্রতিযোগিতা ‘ব্র্যান্ড ব্যাটেল ২০১৮’।
স্যানেটারি নেপকিন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি আর কনডমের মতো আড়ালে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীগুলো মানুষের বিশ্বাস আর প্রয়োজনের সঙ্গে খাপ-খাওয়ানো অনেক সময় বেশ দুঃসাধ্য।
তাই এসব সামগ্রী মানুষের সচেতনতার দুয়ারে নিয়ে যেতে ও বাজারজাতকরণের নানা কৌশল জানতে শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় এ প্রতিযোগিতার।
সিআইইউর মার্কেটিং বিভাগের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় পুরো আয়োজনটি।
প্রতিযোগিতায় মোট ৯টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রথম পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকার সম্মানী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিজনেস স্কুলের ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক কামরুদ্দিন পারভেজ।
অনুষ্ঠানের তিন তরুণ বিচারক ছিলেন-বিএসআরএম’র পিআর, কমিউনিকেশন অ্যান্ড করপোরেট রিলেশন ইন্তেযার মাহবুব, রেডিসন ব্লু চিটাগং বে ভিউর পিআর অ্যান্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ রেকুয়েল রেনডল্প ও কেডিএস গ্রুপের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ রাওয়ান ইউসুফ।
পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে তারা জানান, এ ধরনের আয়োজন শহুরে মানুষদের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত লোকজনদেরও অনেক বেশি সচেতন করবে।
মার্কেটিং ক্লাবের সদস্যরা জানান, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে গত ১৫ দিন ধরে শিক্ষার্থীদের ভেতর ছিল নানা আলোচনা। প্রতিযোগিতায় কেউ কেউ স্যানেটারি নেপকিনের উপর তৈরি করেন সচেতনতামূলক চমৎকার ভিডিও। অনেকে আবার জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির প্রতি সাধারণ মানুষের ধ্যান-ধারণার পরিসংখ্যানের চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার কথা জানান।
জান্নাতুল ফেরদৌস নামের বিজয়ী দলের একজন সদস্য বলেন, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় এ ধরনের পণ্য বা সামগ্রীগুলো বাজারজাত করা সহজ হলেও মানুষের কাছে পৌঁছানো তত সহজ নয়। আমরা তিন বন্ধু মিলে এমন একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি যেখানে সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হবে।
পুরো আয়োজনের বিষয়ে সিআইইউর মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ও বিজনেস স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ড. রোবাকা শামসের বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল পণ্যের সঠিক বাজারজাতকরণ, প্রমোশন, টার্গেট কাস্টমার, মূল্য নির্ধারণ, গবেষণাসহ সামগ্রিক মার্কেটিং বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ধারণা দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এমআর/টিসি