ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছবি: প্রতীকী

চট্টগ্রাম: ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়াতে আরও ৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রূপকল্প-২১’ ও ‘রূপকল্প-৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষে এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১০ হাজার ৮৪ মেগাওয়াট।

২০০৯ সালের পর থেকে দেশে পর্যাপ্ত বিদ্যুত উৎপাদন হওয়ায় চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। বেড়েছে শিল্প কারখানার উৎপাদন।

বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দু’টি গ্রিড সাবস্টেশন ও ২১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ শুরু হওয়ায় চট্টগ্রামের গ্যাসভিত্তিক সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও চালু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হল: নোয়াপাড়ায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, গাজীপুরে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, দাউদকান্দিতে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘোড়াশালের কোড্ডায় ৩৬৫ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, ফেঞ্চুগঞ্জে ২০০ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, মুন্সীগঞ্জের কমলাঘাটে ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, সিদ্ধিরগঞ্জে ৩৩৫ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র(গ্যাস টারবাইন)এবং সিদ্ধিরগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র (দ্বিতীয় ইউনিট)।

বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে। চট্টগ্রামে স্থাপিত ও নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে চলতি বছরের শেষের দিকে ২৬৭ মেগাওয়াট এবং ২০১৯ সালে প্রায় এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছেন পিডিবি কর্তৃপক্ষ।
 
রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) দেশব্যাপী দুই হাজার ৮৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। চট্টগ্রামে দুটি কেন্দ্র থেকে উৎপাদন করা যাবে দুই হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এছাড়া বোয়ালখালীতে ৮০০ মেগাওয়াট এবং মিরসরাইয়ে এক হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে আরপিসিএল।

এদিকে আগামী নভেম্বর মাসে পটিয়ার জুলধা ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ১০৮ মেগাওয়াট, কোলাগাঁও ইউনিয়নের শিকলবাহা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ১০৫ মেগাওয়াট এবং জডিয়াক পাওয়ার চট্টগ্রাম লিমিটেড থেকে ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ২০১৯ সালে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে জুলধা ২ নম্বর ইউনিট থেকে ১০৮, শিকলবাহার কর্ণফুলী পাওয়ার থেকে ১১০, আনলিমা এনার্জি থেকে ১১৬ এবং ইউনাইটেড পাওয়ার থেকে ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

কাপ্তাই ২৩০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ছাড়াই প্রতিদিন ১৫০-১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। দোহাজারী-হাটহাজারী (ফার্নেস অয়েল-২০০ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন হচ্ছে ৯৩ মেগাওয়াট। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন পাওয়ার স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৩০২ মেগাওয়াট। গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১০ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।

তিনি বলেন, আরো কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছে। এসব কেন্দ্র উৎপাদনে গেলে ২০১৯ সালে প্রায় এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এসি/টিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।