ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণদের সরাতে নানামুখী তৎপরতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণদের সরাতে নানামুখী তৎপরতা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরে যেতে উদ্বুদ্ধ করছেন সহকারী কমিশনাররা। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভূমিধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরাতে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। মাইকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি লোকজনকে সরিয়ে নিতে এসব পাহাড়ে অভিযানও পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের চার সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

বুধবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকেই নগরের ৪ সার্কেলের অন্তর্ভ‍ুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়- মতিঝর্ণা পাহাড়, বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, আমিন জুট মিল কলোনি পাহাড় এবং টাংকির পাহাড়ে মাইকিং কার্যক্রম শুরু হয়।

ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের মাইকিং।                     <div class=

ছবি: বাংলানিউজ" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2018October/bg/m-bg20181010193025.jpg" style="margin:1px; width:100%" />এ সময় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরে গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা কাছের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

বেলা ২ টার দিকে মতিঝর্ণা পাহাড়ে যান পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফোরকান এলাহি অনুপম, আগ্রবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আখতার এবং কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শান্তনু চৌধুরী।

এ সময় তারা মতিঝর্ণা পাহাড়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে তাদের বসতঘরে তালা এবং লাল পতাকা লাগিয়ে দেন। এছাড়াও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে সরে কাছের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে অনুরোধ জানান।

আরও খবর>>
** 
তিতলির প্রভাবে সাগর উত্তাল, ৪ নম্বর সংকেত

পরে নগরের বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, আমিন জুট মিল কলোনি পাহাড় এবং টাংকির পাহাড়ে যান চার সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সেখানেও বৈরী আবহাওয়ার সময় লোকজনকে সরে কাছের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ জানান তারা।

চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফোরকান এলাহি অনুপম বাংলানিউজকে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভূমি ধসের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণহানি যাতে না হয়, সে জন্য আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

তিনি বলেন, এসব লোকজনের থাকতে যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য কাছের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। লোকজনকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর ছেড়ে সেখানে আশ্রয় নিতে উদ্বুদ্ধ করছি আমরা। এরপরেও যারা সরে যাবে না তাদের উচ্ছেদ করা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ফোরকান এলাহি অনুপম।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র আঘাত মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র আঘাত মোকাবেলায় চট্টগ্রামের ৪৭৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ক্ষতি যাতে কম হয়, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ১০ অক্টোবর, ২০১৮
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।