ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চার বন্দর ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৮
চার বন্দর ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখছে চট্টগ্রাম বন্দর। জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও রয়েছে এ বন্দরের অবদান। প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকার গ্রহণ করেছে ৩০ বছরব্যাপী মহাপরিকল্পনা, যেখানে আছে সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নও।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং এর পরিমাণ বাৎসরিক ১২-১৪% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয় ১৭ লাখ, ২০১৫ সালে ২০ লাখ, ২০১৬ সালে ২৩ লাখ এবং ২০১৭ সালে তা ২৬ লাখে উন্নীত হয়েছে।

চলতি ২০১৮ সালে ৩০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক বন্দরগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে পরিচিতি পায়।

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে নয় বছরে ২৮ ধাপ উন্নীত হয়। বিশ্বের ১০০টি প্রধান বন্দরের তালিকায় ৭০তম স্থান পায় চট্টগ্রাম বন্দর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় বন্দরের সর্বস্তরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে, সংস্কার করা হয়েছে পুরোনো বন্দর আইনের। সূচনা হয়েছে বন্দর অটোমেশন কার্যক্রমের।

চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার কর্ণফুলী কন্টেইনার টার্মিনাল, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল ও বে টার্মিনাল নির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। স্বয়ংক্রিয় কন্টেইনার অপারেশন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সিটিএমএস এবং বন্দরে নিরাপদে জাহাজ যাতায়াত ও বহির্নোঙ্গরে অবস্থানকালে জাহাজগুলোকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করার জন্য আধুনিক ভিটিএমআইএস চালু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে এ বন্দরের সক্ষমতা  বৃদ্ধি পেয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বাড়তি চাপ কমানোর লক্ষে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন আরেকটি সমুদ্রবন্দর। ২০২৩ সালের মধ্যে এ সমুদ্রবন্দর নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ প্রকল্পের অধীনে ২টি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। টার্মিনাল দুটিতে প্রায় ১৫ মিটার ড্রাফট সম্বলিত ৩৫০ মিটারের জাহাজ ভিড়তে পারবে। যেসব মাদার ভ্যাসেল চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে আসতে পারে না সেসব বড় আকারের জাহাজ এ বন্দরে ভিড়তে পারবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বাংলানিউজকে বলেন, দিনে দিনে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংযুক্ত হওয়া নতুন গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে মোংলা বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর পরিমাণ বাড়াতে জুলফিকার চ্যানেলের আউটার বার ড্রেজিংসহ দুটি অতিরিক্ত জেটি নির্মাণ কাজ চলছে। এই বন্দরকে আরও গতিশীল করতে সুন্দরবনের আকরাম পয়েন্টে ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

পাশাপাশি ২০১৯ সালের মধ্যে পায়রা বন্দর পুরোপুরি চালু করতে নির্মাণ কাজ চলছে। এ বন্দর চালু হলে দেশের অভ্যন্তরীণ আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া প্রতিবেশি ভারত, নেপাল ও ভুটান এ বন্দর ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad