বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সারভার না খোলায় বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল, সোনালী ব্যাংকে রাজস্ব জমা দিতে আসা হাজারো সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও কর্মীদের দুর্ভোগ শুরু হয়। রাত আটটায়ও শত শত মানুষ নথিপত্র ও চেক নিয়ে অপেক্ষা করেন কাস্টম হাউস ও সোনালি ব্যাংকে।
কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় সারভার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডকে পূর্ণ রূপ দেওয়ার কাজ চলছে। এ কারণে সারভার ধীরগতির হওয়ায় কাস্টম হাউসে অটোমেশনাল কাজগুলো ব্যাহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বাংলানিউজকে জানান, সকাল ১০টা থেকে সারভার বিকল ছিল। প্রতিদিন যেখানে আড়াই হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয় সেখানে সারা দিনে হাতে গোনা কয়েকটি দাখিল করা সম্ভব হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কাস্টম কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সারভারের বাইরে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক এ শুল্ক স্টেশনের জন্য আলাদা সারভার রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। যা থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর কেন্দ্রীয় সারভারে তথ্য জমা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এক দিন সারভার বিকল মানে শত শত চালান বন্দরে আটকা পড়া। জরিমানা দেওয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিঅ্যান্ডএফ কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায়ই সারভার বিকল, ধীরগতির কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। ১০ মিনিটের কাজ করতে কয়েক ঘণ্টাও লেগে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এআর/টিসি