বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া একটার দিকে ১১ শিশুসহ ১৫৩জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সারওয়ার-ই-জাহান বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা থেকে কক্সবাজার গিয়ে ফ্লাইটটির নোজ গিয়ার না নামায় পাইলট সেখানে উড়োজাহাজটি না নামিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। আশাকরি, বিকেল পাঁচটার পর থেকে ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হবে শাহ আমানতে।
ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কক্সবাজার নামতে না পেরে বিএস-১৪১ ফ্লাইটটি (বোয়িং ৭৩৭) চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করে। ফ্লাইটের দু’জন পাইলট, পাঁচজন ক্রু, ১১ শিশুসহ ১৫৩ যাত্রীর সবাই নিরাপদে আছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে বিমান জরুরি অবতরণ করবে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইপিজেড, বন্দর ও আগ্রাবাদ ইউনিটের ৬টি গাড়ি শাহ আমানত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়।
ইউএস বাংলার ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীরা সবাই সুস্থ আছেন। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১৪১ ফ্লাইটটি কক্সবাজার এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পূর্বমূহূর্তে পাইলট টেকনিক্যাল কারণে জরুরি অবতরণের প্রয়োজন অনুভব করেন। কিন্তু কক্সবাজার এয়ারপোর্টে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারণে চট্টগ্রামের হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি অবতরণ করে। ফ্লাইটের সব যাত্রী, কেবিন ক্রু ও পাইলট নিরাপদে এয়ারক্রাফট থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যাত্রী ও ক্রুসহ বিমানেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এআর/টিসি