ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জাতীয় ঐক্য বাঙালি জাতিসত্তার বিরুদ্ধে অশনি সংকেত’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
‘জাতীয় ঐক্য বাঙালি জাতিসত্তার বিরুদ্ধে অশনি সংকেত’ নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: তথাকথিত জাতীয় ঐক্য বাঙালি জাতিসত্তার বিরুদ্ধে অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব একথা বলেন।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষক অপশক্তির তথাকথিত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া বাঙালি জাতিসত্তার বিরুদ্ধে একটি অশনি সংকেত।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের। সেই জাতীয় ঐক্যের ফসল স্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ছাড়া আজকের তথাকথিত জাতীয় ঐক্য বাংলাদেশকে ধ্বংস করার দেশি ও বিদেশি নীলনকশা।
এই নীলনকশা এখনই ব্যর্থ করতে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ব্যারিকেট তৈরি করতে হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের দলীয় ভিত্তিকে সুদৃঢ় করার লক্ষে ঐক্যের শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার আহ্বান জানান এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কার্যক্রমের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

সিটি মেয়র আরও বলেন, যাদের গণআস্থার শংকা রয়েছে তারা অনবরত মিথ্যাচার করছে গোয়েলবসীর কায়দায়। আওয়ামী লীগ জনগণের সংকট, জনগণই আমাদের শক্তির উৎস। আওয়ামী লীগের গণআস্থার সংকট নেই। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গত ১০ বছরে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কেউ বুকে হাত দিয়ে এই সত্যকে অস্বীকার করতে পারবে না। দলীয় নেতাকর্মীদের স্বীকৃত সত্যের এই বার্তা এখনই জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্য নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নগর আওয়ামী লীগের সুদৃঢ় ভিত্তি সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্য। এই ঐক্যকে যে কোন মূল্যে ধরে রাখতে হবে। ছোট-খাটো দূরত্ব থাকতেই পারে। এ নিয়ে তিলকে তাল করা যাবে না। যারা অতীতের মত দল থেকে দল বিভাজন করবেন তারা ঘরের শত্রু বিভীষণ। তাদেরকে আসসালামু আলাইকুম জানাতে দ্বিধা নেই।

সভায় আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই দিন বিকেল তিনটায় প্রতিটি সাংগঠনিক ওয়ার্ড থেকে ব্যানার ফ্যাস্টুন টাঙানোসহ মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শহীদ মিনার থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে ফিরে আসবে। এছাড়া আগামী ৮ অক্টোবর নগরের লালদীঘী ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য জনসভা সফল করার লক্ষে ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে সাংগঠনিক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, বদিউল আলম, এম এ রশীদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, আহমদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী জহুর আহমদ, মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, আবু তাহের, আবদুল আহাদ, দিদারুল আলম চৌধুরী, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য এম এ জাফর, মোহাম্মদ ইয়াকুব, আবুল মনসুর, নুরুল আবছার মিয়া, পেয়ার মোহাম্মদ, কামরুল হাসান বুলু, নুরুল আলম, গাজী শফিউল আজিম, সৈয়দ আমিনুল হক, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, বখতিয়ার উদ্দিন খাঁন, মহব্বত আলী খাঁন, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, অমল মিত্র, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, রোটারিয়ান ইলিয়াছসহ ১৫ থানা এবং ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।