মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রাণীজ আমিষের যোগান পোল্ট্রি সেক্টর দিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে যখন পোল্ট্রি বিক্রি করা হয় তখন তারা সঠিক ভাবে জবাই, সংরক্ষণ ও পর্যাপ্ত পানি দিয়ে পরিস্কার পরিছন্নতার বিষয়গুলো যথাযথ অনুসরণ না করলে পোল্ট্রির মাংস নিরাপদ হবে না।
জেলা প্রশাসক বলেন, জনগণের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য, বিশেষ করে নিরাপদ পোল্ট্রি মাংস নিশ্চিত করতে সরকারি মান তদারকি প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসন, প্রাণী সম্পদ অফিস, বিএসটিআই, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর ও ক্যাবের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তবেই শতভাগ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পুর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সেন, সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাশহুদুল কবির, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক জসিম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জমান।
কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন, পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্ত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন, বিএসটিআই’র সহকারী পরিচালক মোস্তাক আহমদ, চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানীর উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুর রহমান, বৃহত্তর চট্টগ্রাম পোল্ট্রি খামারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, থানা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভুষণ দাশ ও ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বৃটিশ কাউন্সিল প্রকাশ প্রকল্পের সমন্বয়কারি শ্যামল চাকমা।
কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, খামারী, ওষুধ, পোল্ট্রি ফিড মিল, বিক্রেতা, লাইভ বার্ড বিক্রেতারা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এমআর/টিসি