ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিআরবিতে ইয়াং বাংলার ‘লেটস টক’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
সিআরবিতে ইয়াং বাংলার ‘লেটস টক’ ইয়াং বাংলার সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন আয়োজিত ‘লেটস টক’ শীর্ষক অনুষ্ঠান

চট্টগ্রাম:  সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের কয়েকটি সূচকে বাংলাদেশ আজ ওপরের সারিতে অবস্থান করছে। এ দেশটি কারও দয়ায় বা দাক্ষিণ্যে অর্জিত হয়নি।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিআরবি শিরীষতলায় ইয়াং বাংলার সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন আয়োজিত ‘লেটস টক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে দীর্ঘ ত্যাগ, সংগ্রামের ইতিহাস আছে।

সব মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন করেছে। একটি অসম্প্রাদায়িক রাষ্ট্র গঠনই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শুরু হয় ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। চলতে থাকে পাকিস্তানি কায়দায় শাসননীতি। এ  সাম্প্রদায়িক শক্তিই বিভিন্ন অপরাজনীতি, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। আজ দেশের প্রতিটি মানুষকে এ সত্য উপলব্ধি করতে হবে।

মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ যে জায়গায় উন্নীত হয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। বিশ্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের এ উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। উন্নয়ন, অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইয়াং বাংলা সংগঠনটি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় প্রণোদিত হয়ে এ সংগঠন দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে প্রাধান্য দিয়ে ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা নিয়ে ইয়াং বাংলা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

তিনি নতুন প্রজন্মকে পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ ও কর্তব্যের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আমেনা বেগম বলেন, এ নগরে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ শিশু-কিশোর বাজারে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে তাদের মাধ্যমেই প্রায় ৫ লাখ পলিথিন ব্যাগ বিভিন্ন ভাবে খাল, নালায় এসে পড়ে। অথচ এ পলিথিন অপচনশীল। খাল, নালায় পলিথিন ব্যাগ ফেলার কারণে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ নষ্ট হয়। নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য এ পলিথিন ব্যাগ অনেকাংশেই দায়ী।

তিনি আয়োজকদের পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে কাজ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এআর/টিসি          

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।