রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
তিনি বলেন, বহুদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি নেই।
২০১৫ সালের ২০ জুলাই আলমগীর টিপুকে সভাপতি এবং ফজলে রাব্বি সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
কমিটি গঠনের পর থেকে নানা সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে জড়ান নেতারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিলেও তাতে কোনো সাড়া মেলেনি। এরপর ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর কমিটি বিলুপ্ত করে দেয় কেন্দ্র।
এদিকে চট্টগ্রাম কলেজে কমিটি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কলেজেও সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি পাঠানো হবে। তদন্ত কমিটি কলেজে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। কমিটিতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
পরে কমিটি প্রত্যাখান করে পরের দিন প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। রোববারও (২৩ সেপ্টেম্বর) পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে কমিটি বাতিল চান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
জেইউ/টিসি