রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কর্ণফুলীর পাড়ের ক্রসিং এলাকায় কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সেতুমন্ত্রী উপস্থিত নেতা-কর্মীদের সামনে জাবেদকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব! চট্টগ্রামের মানুষ জানে, কর্ণফুলী হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি! সেই ঘাঁটি দেখে যান, ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ১০ বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর? দেখতে দেখতে ১০ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? ১০ বছরে হয়নি, এক মাসে হবে? মানুষ এখন ইলেকশনের নীড়ে। এখন কেউ আন্দোলন চায় না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কোটার ওপরে ভর করেছে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে। তারপরে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ সড়কের মধ্যে ঢুকেছে। ভুয়া প্রমাণ হয়েছে ৪ মহিলাকে আটকে রাখার ঘটনা, একজনকে রেপের ভিডিও। চোখ চলে গেছে আওয়ামী লীগ কর্মীর। কোনো কোনো মিডিয়া প্রচার করলো আন্দোলনরত এক ছাত্রের চোখ চলে গেছে। এটা গুজব সন্ত্রাস। গুজব সন্ত্রাস এখনো আছে। এ সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে হবে। আন্দোলনে জনগণ আর সাড়া দেবে না। বিএনপির একটি কাজ এ চট্টগ্রামে দেখান। যে কাজ দেখিয়ে ভোট চাইতে পারে। ভোট চাওয়ার মতো কোনো কাজ নেই। নোমান সাহেব, আমির খসরু সাহেবের বড় বড় কথা, লাগাম ছাড়া কথা আছে। তাদের কোনো কাজ নেই।
ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন। ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মশারির মধ্যে মশারি টাঙাবেন না। ঐক্যবদ্ধ থাকেন। ঐক্যের রেজাল্ট আছে। গাজীপুরে আমরা ঐক্যবদ্ধ, জিতেছি। খুলনায় ঐক্যবদ্ধ আমরা জিতেছি। সিলেটে কলহ ছিল, সামান্য ভোটে হেরেছি। কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ কত বছর আগে জিতেছে! আমার মনে নেই। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অাওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অাব্দুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, একেএম এনামুল হক শামীম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন কর্ণফুলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এআর/টিসি