ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রবি-দৃষ্টি স্কুল বিতর্কে কলেজিয়েট চ্যাম্পিয়ন

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
রবি-দৃষ্টি স্কুল বিতর্কে কলেজিয়েট চ্যাম্পিয়ন রবি-দৃষ্টি ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা

চট্টগ্রাম: ‘বিশ্বায়নে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা এবং ২০৪১ সালের বাংলাদেশ’ এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত একঝাঁক প্রাণচঞ্চল তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণে হয়ে গেলো রবি-দৃষ্টি ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ পর্ব।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিলেন সাবেক বিতার্কিক ও রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ক্লাস্টার মার্কেটিং ডিরেক্টর, সাউদার্ন ক্লাস্টার এএসএম এনায়েতুর রহিম, শিক্ষাবিদ ও সানশাইন গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবপ্রযুক্তি ও জিন-প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক সাইফ চৌধুরী।

এএসএম এনায়েতুর রহিম বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশ বর্তমানে তাদের বাজেটের অধিকাংশ বরাদ্দ রাখছে শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সৃজনশীল কাজের জন্য।

কারণ বিশ্বায়নের এ যুগে যেসব দেশ গবেষণা খাত ও তথ্যপ্রযুক্তির পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে না, তারাই পদদলিত হয়ে সবার পেছনে পড়ে থাকছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটালাইজেশনের যে পর্যায়ে আছে সেটি ধরে রাখতে পারলে আমাদের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সৃজনশীলতার চর্চা ও যুক্তিবাদী চেতনা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

রবি-দৃষ্টি ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ী ও অতিথিরাড. আদনান মান্নান বলেন, দৃষ্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত ২৬ বছর ধরে বিতর্ক নিয়েই কেন কাজ করছে? কারণ দৃষ্টি বিশ্বাস করে বিতার্কিকদের মধ্যে আছে সেই স্পৃহা, সেই প্রাণচাঞ্চল্য যেটি স্বপ্নের পরিধিকে বাড়ায়, তৈরি করে জীবনবোধ, বৃদ্ধি করে জীবনের আকাঙ্ক্ষা। একজন বিতার্কিক কখনো নিজেকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ ভাবতে পারে না। সে পুরো বিশ্বের, সে পুরো জাতির অন্যতম অংশ।

তিনি বলেন, বিতর্ক করে হয়তো কোনো টাকা আসবে না কিন্তু তৈরি হবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব, স্বপ্নদ্রষ্টা। তোমাদের ছোট ছোট সাফল্যের মাধ্যমে একটু একটু করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ বকুল সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রমগুলোর সাফল্যের পেছনের মূল দাবিদার অভিভাবকরাই, কারণ তাদের সাহচর্য ছাড়া আমরা অসম্পূর্ণ। বিতর্কের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি দেশকে এমন এক প্রজন্ম উপহার দেওয়ার যারা সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সৎসাহস রাখবে, যারা সৃজনশীল হবে, যারা মানবিক হবে।

স্কুল বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘গার্মেন্টস খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি না করে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা উচিত। ’ সরকারি মুসলিম হাইস্কুলকে পরাজিত করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল বিজয়ী হয়। ‘তথ্যপ্রযুক্তির উন্মুক্ততা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুক্ত দার্শনিক চিন্তাকে বেগবান করবে। ’ শীর্ষক বিতর্কে সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকা কলেজ বিজয়ী হয়। সর্বশেষ বিতর্কে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ফাইনালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন আমাদের দেশকে দুর্নীতির অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারে’ বিষয়ে মুখোমুখি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়ী হয়।

শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হয় হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাদিকা, চট্টগ্রাম কলেজের পুঞ্জ বড়ুয়া ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নুরুল হক বাবু।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এআর/টিসি          

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।