শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সদরঘাট থানাধীন শিয়া মসজিদ এলাকা থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়। প্রতীকী তাবুত (মরদেহ রাখার খাটিয়া), যুদ্ধের পতাকায় সুসজ্জিত তাজিয়া মিছিলটি নিউমার্কেট, কোতোয়ালী মোড়, ফিরিঙ্গিবাজার হয়ে আবার মসজিদে ফিরে আসে।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আমজাদ হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) প্রিয় নাতি ইমাম হোসাইনকে (রা.) কারবালায় নির্মমভাবে শহীদ করেছিল এজিদ।
যথারীতি নগরের পাহাড়তলী বিহারি কলোনি ও আমবাগান এলাকায় পর পর দুইটি বড় তাজিয়া মিছিল বের করা হয়েছে বিকেলে। সর্দার বাহাদুর নগর, ওয়ারলেস, ঝাউতলা, ফিরোজ শাহ কলোনি, খুলশী থেকে ছোট ছোট মিছিল বের হয়ে মূল তাজিয়া মিছিলে অংশ নেয়।
কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনাবলির অনুকরণে সুসজ্জিত ঘোড়া, তাজিয়া, তলোয়ার-যুদ্ধ ছিল এসব মিছিলে। হায় হোসাইন হায় হোসাইন মাতমে পুরো এলাকা মুখর হয়ে ওঠে। হাজার হাজার ভক্তের অংশগ্রহণে মিছিলগুলো দেখতে সড়কের দুইপাশে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। চার শতাধিক পুলিশ মিছিল দুইটির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। মিছিল চলাকালে টাইগারপাস, কদমতলীসহ আশপাশের সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া ছোট ছোট তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে হালিশহর, রউফাবাদ, শেরশাহ, বাকলিয়া শান্তিনগরসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এআর/টিসি