সীতাকুণ্ডের ফলের দোকান ছাড়াও অলিগলিতে ছোট ছোট টুকরিতে ‘লাল পেয়ারা’র পসরা সাজিয়ে বসছে স্থানীয় লোকজন। কেউ কেউ পেয়ারা একটি দু’ফালি করে সাজিয়ে রাখছেন।
আরও খবর>>
** শিমের রাজ্যে ফুলের শোভা, চাষির মুখে হাসি
সীতাকুণ্ড সদর বাজারে লাল পেয়ারা বিক্রি করছিলেন আবদুল আলিম। তিনি বলেন, বাগানের টসটসে পেয়ারাগুলো ছিঁড়ে এনেছি। প্রতিকেজি ৫০ টাকার কমে বিক্রি করলে লোকসান হবে। এসব পেয়ারায় ফরমালিন নেই, বিষ নেই। পাইকার ও পর্যটকদের হাত ঘুরে এ পেয়ারা এখন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী থেকে শুরু করে দেশের বাইরেও চলে যাচ্ছে।
নন্দনকাননের জহির রায়হান কর্মসূত্রে থাকে সীতাকুণ্ডে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, বাজারে এক কেজি আপেলের দাম ১৬০-২০০ টাকা। ওই টাকায় আমি সীতাকুণ্ডের চার-পাঁচ কেজি লাল পেয়ারা কিনি। সন্তানরা আদর করে এ পেয়ারাকে বলে ‘বাংলার আপেল’।
সীতাকুণ্ডের উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র নাথ বাংলানিউজকে বলেন, সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় বংশ পরম্পরায় লাল পেয়ারার চাষ হয়ে আসছে। এ বছর ৯৫ হেক্টর পাহাড়ি ভূমিতে লাল পেয়ারার চাষ করেছেন ৯৫২ জন চাষি। এর বাইরে ভিটেবাড়ির চারপাশে শখের অনেকে এ ধরনের পেয়ারার গাছ লাগিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাধারণত পেয়ারায় ভিটামিন সি থাকে। কিন্তু সীতাকুণ্ডের লাল পেয়ারায় ভিটামিন-সি’র পাশাপাশি ভিটামিন-এ’ও থাকে। রং, স্বাদ, সৌরভের কারণে এ পেয়ারার চাষ ও চাহিদা দুটোই বাড়ছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। সীতাকুণ্ডের লাল পেয়ারা যেহেতু ভেতরে লাল তাই প্রচুর ভিটামিন-এ’ও রয়েছে। সচরাচর উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে গাঢ় রঙের শাক-সবজি যেমন গাজর, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, লাল শাক, কচু শাক, হেলেনচা, পুঁই শাক, পাট শাক, পালং শাক, শালগমে এবং হলুদ ফল যেমন পাকা আম, পেঁপে, কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন-এ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এআর/টিসি