বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান।
তিনি বলেন, বৈদেশিক ডাক বিভাগের মাধ্যমে গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রামে এসে পৌঁছে খাটের এই চালান দুটি।
তিনি জানান, মোট ১৩টি কার্টনে ২০৮ কেজি খাট বাংলাদেশে আসে। এগুলোর একটির প্রেরক ইথিওপিয়ার জিয়াদ মোহাম্মদ। প্রাপক হিসেবে লেখা হয়েছে, মো. ইফতেখার হোসেনের নাম। তার ঠিকান, বাড়ি নম্বর ২৩, রোড ১, লেইন ৪, নিউ এ ব্লক হালিশহর। মোট ১০ টি কার্টনে তার নামে পাঠানো হয়েছে ১৬০ কেজি খাট।
কাস্টমস কমিশনার আরও বলেন, আরেকটি পার্সেল এসেছে ইথিওপিয়ার জেমিরা ট্রেডিং (পিএলসি) থেকে। এটির প্রাপক আরিফ এন্টারপ্রাইজ। ঠিকানায় লেখা হয়েছে, প্রযত্নে আরিফ ভূঁইয়া, শান্তিধারা আবাসিক এলাকা, শান্তি কোম্পানি, ফেনী সদর, ফেনী। এই ঠিকানার অনুকূলে তিনটি কার্টনে ৪৮ কেজি খাট পাঠানো হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী খাট বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, যাকে বলা হচ্ছে নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস)। খাট আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে মূলত ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখান থেকে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
এ পর্যন্ত ২০টি প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে পেরেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। তবে যাদের মাধ্যমে খাট আসে, সব প্রতিষ্ঠানই ভুয়া নাম ব্যবহার করেছে।
চট্টগ্রামে যে ২০৮ কেজি খাট জব্দ করেছে এবং যেসব ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে সেগুলোর নামও ঠিক নয় বলে জানান কাস্টমস কমিশনার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
জেইউ/টিসি