বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
ছাত্রলীগের এ পক্ষটি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী বলে পরিচিত।
সংবাদ সম্মলেনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম. কায়সার উদ্দিন।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিকে বিতর্কিত, ভুয়া ও পকেট কমিটি দাবি করে এম কায়সার উদ্দিন বলেন, জামায়াত শিবির ও ছাত্রদল ঘেঁষা চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে করা এ কমিটি আমরা কোনোভাবে মেনে নেব না।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কমিটিতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
মাহমুদুল করিম প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এবং সুভাষ মল্লিক সবুজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অবৈধ দাবি করে সেই কমিটির সহ-সভাপতি এম কায়সার উদ্দিন বলেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের নীলনকশা হিসেবে রাতের আঁধারে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ কমিটি দিয়েছেন। দ্রুত মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিও বাতিল করা হোক।
এম কায়সার উদ্দিন বলেন, যদি নির্বাচনকালীন কোনো কমিটির প্রয়োজন হতো তাহলে তা দরকার ছিল সিটি কলেজ, এম ই এস কলেজ ও ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ ও ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে অনেক বছর আগে। এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংসদ ও ছাত্রলীগের কমিটির ভিপি, জিএস, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ছাত্রত্ব চলে গেছে অনেক বছর আগে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী বলে পরিচিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত, আরিফ মইনুদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল আলম রনি, মিথুন মল্লিক, মো. শাকিল, মহিউদ্দিন মাহি, যুগ্ম-সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন শাহরিয়ার ও সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করা মোস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এসকে/টিসি