ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

র‌্যানং পোর্টের সঙ্গে শিপিং সার্ভিস চান ব্যবসায়ীরা

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
র‌্যানং পোর্টের সঙ্গে শিপিং সার্ভিস চান ব্যবসায়ীরা থাইল্যান্ডের ১৫ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতারা

চট্টগ্রাম: র‌্যানং পোর্টের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরুর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিতে সময় ও খরচ কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

থাইল্যান্ডের ১৫ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, ব্যবসায়ী নেতা ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিষয়টি উঠে আসে।

আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

থাইল্যান্ডের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের নেতা মানু সিথিপ্রসাসানা, থাই বিনিয়োগ বোর্ডের সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট কর্মকর্তা অপিপং খুনকর্নবডিন্টার, চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান ও চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বক্তব্য দেন।

চেম্বার সভাপতি গত বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লেখ করে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্য নিয়মিত প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিচিতি ও বাজার সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য এবং রপ্তানি ঝুড়িতে নিত্য নতুন অন্তর্ভুক্ত পণ্য আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান।

চেম্বার সভাপতি উভয় দেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে আলোচনা এবং বিনিয়োগ বোর্ডের পারস্পরিক সহযোগিতা ও ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন।    

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নেতা মানু সিথিপ্রসাসানা বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি উভয় দেশের মধ্যে অধিকতর অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং পারস্পরিক সুযোগ-সুবিধা অন্বেষণ করা এবং মতবিনিময়ের মাধ্যমে সুবর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন এ সফরের উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেন। প্রতিনিধি দলের নেতা চট্টগ্রামের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সরাসরি নৌপথের সংযোগ স্থাপনে থাই সরকার কাজ করছে বলে জানান।

এর ফলে উভয় দেশ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক করিডোরের সঙ্গে সংযুক্ত হবে এবং জাহাজে পণ্য চলাচলের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ প্রকৃত ব্যবসায়ী ও রোগীদের জন্য ভিসা সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ পণ্য আমদানির অনুরোধ জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বর্তমান সরকার বাংলাদেশি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন নতুন বাজারের সন্ধানে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি থাইল্যান্ডের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের প্রস্তাবনা পেলে শ্রমঘন শিল্প স্থাপনে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।

থাই বিনিয়োগ বোর্ড প্রতিনিধি অপিপং খুনকর্নবডিন্টার বাংলাদেশকে বিনিয়োগের টার্গেট দেশ উল্লেখ করে থাই সরকার তার দেশের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে বলে জানান।

প্রতিনিধিদল মতবিনিময় শেষে বিটুবি সেশনে অংশ নেন এবং রপ্তানি পণ্যের প্রদর্শনী হলে ঘুরে দেখেন।

এ সময় চেম্বারের পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এমএ মোতালেব, অঞ্জন শেখর দাশ, এসএম শামসুদ্দিন, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালক কংকন চাকমা, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) উপ-পরিচালক এম মোজাম্মেল হোসেন,  বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সহ-সভাপতি সৈয়দ মো. শোয়েব হাসান, বিজিএপিএমইএর পরিচালক কেএইচ লতিফুর রহমান (আজিম), উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮

এআর/টিসি          

       

     

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।