ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চট্টগ্রাম বন্দর দখল নিতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
‘চট্টগ্রাম বন্দর দখল নিতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে’  চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও সাইফ পাওয়ারটেকের এমডি তরফদার রুহুল আমিন। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরকে দখলে নিতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তরফদার রুহুল আমিন। 

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আগ্রাবাদে সাইফ পাওয়ারটেকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।  

সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত ‘চট্টগ্রাম বন্দর আন্তর্জাতিক অপারেটরের কাছে হস্তান্তর করা উচিত’ এমন প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

ব্যবসায়ী নেতা তরফদার রুহুল আমিন বলেন, সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা চট্টগ্রাম বন্দর আন্তর্জাতিক অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালনা করা উচিত বলে যে মতামত দিয়েছেন তা কাম্য হতে পারে না। আমি মনে করি এমন মতামত চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, তারা কিসের ভিত্তিতে এমন মতামত দিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দরের আয় কখনও কমছে না, বরং বাড়ছে। প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। বন্দরের কার্যক্রম দিনে দিনে বাড়ছে। লোকাল অপারেটররা তো আন্তর্জাতিক নিয়মে বন্দর পরিচালনা করে আসছে। এর কারণেই তো বন্দরের কার্গো হ্যান্ডেলিং বেড়ে চলেছে। আধুনিং ইন্সট্রুমেন্ট, দক্ষ জনবল দিয়ে বন্দর পরিচালনা হচ্ছে।  

‘২০০৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো হ্যান্ডেলিং ছিল ১ দশমিক এক মিলিয়ন টিউস। ২০১৮ সালে কার্গো হ্যান্ডেলিং হচ্ছে ২ দশমিক আট মিলিয়ন টিউস। এসব তো কোনো বিদেশি অপারেটর এসে করেনি। আমাদের লোকাল অপারেটররাই করেছেন। ’

রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দেশীয় অপারেটররা বিদ্যমান ফ্যাসিলিটিতে এসব কাজ করেছেন। তারা কাজ করছেন বলেই বন্দরের কার্যক্রম বাড়ানোর প্রযোজন পড়েছে। বে-টার্মিনাল হচ্ছে, নতুন গ্র্যান্টি ক্র্যান আনা হচ্ছে। এখন যদি চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি অপারেটরকে দেওয়া হয় তাহলে আমাদের দেশি অপারেটরদের কী হবে? 

‘আগে একটা সময় বাংলাদেশে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কাজ হতো না। কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। এখন আমরা নিজেরা করতে সক্ষম। আগে পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা লাগতো, আর এখন লোকাল কোম্পানিগুলো নিজেরা তা করতে পারছে। আমরা প্রমাণ করেছি এখন আমাদের সব কাজে বিদেশিদের প্রয়োজন নেই। ’

তিনি বলেন, এতকিছুর পরেও যখন চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় বিদেশি অপারেটর লাগবে এমন মতামত শুনি তখন তা খুবই দুঃখজনক। আমি মনে করি এটি উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধিমূলক। আমাদের ব্যবসায়ী নেতারাও এমন মতামত দেখে বিস্মিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮ 
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।