বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সীতাকুণ্ডের সমুদ্রপাড়ে অনেক শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে এসএম আল মামুন বলেন, ‘বর্তমানে দেশের অনেক শিল্প উদ্যোক্তারা সীতাকুণ্ডের সমুদ্রপাড়ে নানা শিল্প-কারখানা গড়ে তুলছেন।
পাশাপাশি যেসব শিল্প উদ্যোক্তারা সীতাকুণ্ডে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছেন, সেখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
বয়স্ক, মাতৃত্বকালীন, মৎস ভাতা, শিক্ষাবৃত্তি, উপবৃত্তি, কৃষকদের বিনামূল্যে সার বিতরণসহ বর্তমান সরকার দুই মেয়াদে সীতাকুণ্ডে নানামূখী উন্নয়ন করেছে জানিয়ে এসএম আল মামুন বলেন, সীতাকুণ্ডে প্রতি বছর রাজস্ব খাতে বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা পরিষদ গেইট ও পুকুরে রিটানিং ওয়াল নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। গত সাড়ে ৪ বছরে সীতাকুণ্ডে ৩০৯টি সড়কের ব্রিক সলিং, আরসিসি ঢালাই, পিচ ঢালাইসহ ড্রেন, রিটানিং ওয়াল, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও সরকার ৫টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুমতি দিয়েছে। যেগুলোর টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে।
সোনাইছড়ির ইউনিয়নের ঘোড়ামারা এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ জরুরি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় এ এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। এতে ঘোড়ামারা এলাকার জনগণ দুর্ভোগে রয়েছেন। পাশাপাশি সীতাকুণ্ডে ১৯টি স্লুইচ গেইট অকেজো হয়ে গেছে। অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, ভাটিয়ারি, সলিমপুর এলাকার লোকজনও দুর্ভোগে রয়েছেন। এসব স্লুইচগেইট নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এরপরেও দেশের নানা অঞ্চলের ন্যায় সীতাকুণ্ডে ব্যাপক উন্নয়নকাজ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এসবি/টিবি