এ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের মাধ্যমে সীতাকুণ্ডের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা একটি স্থায়ী ঠিকানা পাচ্ছেন। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
২০১০ সালে গৃহীত জেলা পর্যায়ে ৪১টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা প্রকল্প ৬৪ জেলা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
একই সঙ্গে সরকার ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার ৯৭১টি বাসস্থান নির্মাণ করার প্রকল্পও হাতে নেয়।
বাস্তবায়নাধীন এ তিন প্রকল্পের নির্মাণকাজ ২০১৮ সালের জুনে সম্পন্ন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে সীতাকুণ্ড সদরে ১ হাজার ৪৪৫ বর্গফুট আয়তনের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে সীতাকুণ্ডের উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। তিনতলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ ভবনে থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস, কমিউনিটি সেন্টার কাম দোকান, লাইব্রেরি। এ ভবনের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী জুনে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে। ’
মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জানিয়ে সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীতাকুণ্ড সদরেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা যাবতীয় কর্মকাণ্ড করতে পারবেন। পাশাপাশি সীতাকুণ্ডের ৪ জন ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ’
পাকিস্তানি শোষকদের কাছ থেকে যারা আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতেই স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার নানামূখী উদ্যোগে নিয়েছেন বলেও মত প্রকাশ করেন এ জনপ্রতিনিধি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এসবি/টিসি