বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ১০ দিনব্যাপী ৩৩তম আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মপুর দরবার শরিফের সাজ্জাদানশিন আল্লামা আবদুশ শাকুর নকশবন্দি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, কারবালায় আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) শাহাদাতের ট্র্যাজেডি থেকে অনেক শিক্ষণীয় রয়েছে।
মাহফিলে বিদেশি আলোচক ছিলেন মিশর শাজলিয়া কাদেরিয়া ইউসরিয়া তরিকার শায়খ প্রফেসর আল্লামা ড. ইউসরি রুশদি জবর আলহাসানি আল আজহারি, ইমাম আ’লা হজরত দরবারের সাজ্জাদানশিন আল্লামা তওছিদ রেজা খান বেরলভি (ভারত) ও শাহসুফি এহছান ইকবাল কাদেরি (শ্রীলঙ্কা)।
ড. আল্লামা ইউসরি রুশদি বলেন, আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) স্মরণ ও অনুসরণে আমাদের আত্মনিবেদিত হতে হবে।
আল্লামা তাওসিফ রেজা খান বলেন, আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও মহব্বতই আমাদের নাজাতের চাবিকাঠি।
আল্লামা এহছান ইকবাল কাদেরী বলেন, কারবালা ট্র্যাজেডি মুসলমানদের ইমানি শক্তিতে জেগে ওঠার প্রেরণা। যুগে যুগে কারবালা আমাদের সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠার শক্তি জোগায়।
আলোচনা করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রধান ফকিহ আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, পাহাড়তলি নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা এনামুল হক সিকদার ও জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
আল্লামা আবদুশ শাকুর নকশবন্দি বলেন, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ সুন্নি জনতার মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ৩৩ বছর ত্যাগে সূচিত মহররম মাসে ১০ দিনব্যাপী শাহাদাতে কারবালা মাহফিল ইমানদার জনতার উজ্জীবনের প্রেরণা হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে তিনি খতিবে বাঙাল অধ্যক্ষ আল্লামা জালাল উদ্দিন আলকাদেরি (র.) অনন্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।
মাহফিলে অতিথি ছিলেন প্যানল মেয়র মুহাম্মদ হাসান মাহমুদ হাসনী, মাওলানা শাহ্ মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আলকাদেরি, অধ্যাপক মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, মহানগর গাউসিয়া কমিটি সভাপতি মুহাম্মদ আবুল মনসুর, মহানগর গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম।
তেলাওয়াত করেন কারি শাইখ আহমদ বিন ইউসুফ আল আযহারী। নাতে রাসূল (দ.) পাঠ করেন শায়ের মাওলানা মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন। মাহফিল সঞ্চালনায় ছিলেন চবি অধ্যপক ড. আল্লামা মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ ও আল্লামা মুহাম্মদ জিয়াউল হক।
ষষ্ঠ দিবস থেকে পর্দা সহকারে নারীদের বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
এআর/টিসি