বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের নিউমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনের পরপরই এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বাংলানিউজকে জানান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক জসিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হায়দার এবং পটিয়া থানা ছাত্রদল সভাপতি জমির উদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর চালানো হয়।
সম্প্রতি ঘোষিত দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধের জেরে পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এ ভাঙচুর করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জমির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, অামরা তো প্রতীকী অনশনে ছিলাম। এ ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে অামরা জানি না। অামরা যে প্রতীকী অনুষ্ঠিান ছিলাম, এরকম ভিডিও ও ছবি অাছে। কিভাবে অামরা ভাঙচুর চালাবো?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল আলম শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক মহসিনও অস্বীকার করেন।
শহীদুল অালম বাংলানিউজকে বলেন, অামরা সকাল ১০টা থেকে নতুন ব্রিজ এলাকার মান্নান টাওয়ারের নিচে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ভাঙচুরের এরকম কোনো ঘটনার বিষয়ে আমরা জানি না। যদি এরকম ঘটেও থাকে তারা হয়তো সন্ত্রাসী।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ অামাদের অভিযোগও দেয়নি।
এদিকে, ভাঙচুরের খবর পেয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, যারা দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে তারা বিএনপির ভেতরে থাকা আওয়ামী দালাল। আমরা তাদের চিহ্নিত করছি, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
ইউকেডি/টিসি