ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দৃষ্টিনন্দন জাম্বুরি পার্কের উদ্বোধন শনিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৮
দৃষ্টিনন্দন জাম্বুরি পার্কের উদ্বোধন শনিবার সন্ধ্যার পর আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে জাম্বুরি পার্ক। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে সাড়া জাগানো আগ্রাবাদের জাম্বুরি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর)। বিকেল সাড়ে চারটায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পার্কটি উদ্বোধন করবেন।

এ উপলক্ষে ফলক উন্মোচন, উদ্বোধন অনুষ্ঠান, আলোচনাসহ বর্ণিল আলোকসজ্জার আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। যদিও দর্শকদের চাপের কারণে উদ্বোধনের আগেই পার্কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা বয়সী মানুষের ভিড় করছেন।

আরও খবর>>
** 
সাড়া ফেলেছে চট্টগ্রামের জাম্বুরি পার্ক!

সন্ধ্যার পর আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে জাম্বুরি পার্ক।                                             <div class=

ছবি: সোহেল সরওয়ার" src="http://cdn.banglanews24.com/media/imgAll/2018September/bg/j-bg20180907200221.jpg" style="margin:1px; width:100%" />৮ দশমিক ৫৫ একর জমির ওপর সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পার্কটি বাস্তবায়ন করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে আর কম্পাউন্ড রোড মিলে ৮ হাজার রানিং ফুটের পার্কটির মাঝে ৫০ হাজার বর্গফুটের জলাধার রাখা হয়েছে। জলাধারের কিনারায় বসার জন্য তিনটি বড় গ্যালারি রাখা হয়েছে। মাঠজুড়ে সাড়ে পাঁচশ লাইটের পাশাপাশি নজরকাড়া দুইটি বর্ণিল ফোয়ারা রয়েছে এ পার্কে। ফলে সন্ধ্যার পর আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে পার্কটি।

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি থেকে পার্কটি সুরক্ষার জন্য পুরো পার্কটি ৩ ফুট উঁচু করা হয়েছে জানিয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  আহমেদ আবদুল্লাহ নূর বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে শারীর চর্চার জন্য প্রশস্ত ও দীর্ঘ জগিং ট্র্যাক, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য উন্মুক্ত উদ্যান এবং নির্মল বাতাসের জন্য জলাধার স্থাপন। পার্কের ভেতরের ও বাইরের পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা, অভ্যন্তরীণ মাস্টার ড্রেন।

সন্ধ্যার পর আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে জাম্বুরি পার্ক।  ছবি: সোহেল সরওয়ারতিনি জানান, পার্কের চার কর্নারে চারটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দুইটি টয়লেট ব্লক, একটি গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ অফিস, একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র। আড়াই হাজার ফুট দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন সীমানাপ্রাচীরের পাশেও রাখা হয়েছে ওয়াকওয়ে। পার্কে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৬টি ফটক। জলাধারের পাশে রয়েছে দুইটি পাম্প হাউস। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মাঠজুড়ে লাগানো হয়েছে ৬৫ প্রজাতির ১০ হাজার গাছের চারা।

আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা খায়রুল আলম বাংলানিউজকে জানান, যদি দীর্ঘমেয়াদে ফোয়ারার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, লাগানো ঘাস ও চারাগাছগুলোর পরিচর্যা করা হয় তবে শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের হাঁটা বা শরীরচর্চার ক্ষেত্র শুধু নয় জাম্বুরি পার্ক দেশি-বিদেশি পর্যটকদেরও দৃষ্টি কাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।