বুধবার (৫ আগস্ট) রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউ'র মেজবান হলে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক স্টিল কনফারেন্সের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্টিল ইউজারস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (সুফি) সহযোগিতায় মুম্বাইয়ের স্টিল গ্রুপ এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।
অবকাঠামো, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে ইস্পাত শিল্পের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে সুফি মিজান বলেন, একটি দেশের অবকাঠামো ও উন্নয়নের পরিমাপক হচ্ছে মাথাপিছু স্টিল ও বিদ্যুৎ ভোগের ওপর। একসময় বাংলাদেশে স্টিল ভোগের মাথাপিছু পরিমাণ ছিল ১৩ কেজি।
তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব আকরিক লৌহ বা খনি নেই, কয়লাও নেই। আমাদের বেসিক স্টিল মিল একটিও নেই। ভবিষ্যতে আসবে। এ খাতে আমরা এখন ইন্টারমিডিয়েট লেবেলে আছি। বাইর থেকে বিলেট, সিআর, এইচআর কয়েল এনে ফিনিশড গুড তৈরি করি। কিছুটা ব্যাকওয়ার্ড সাপোর্টে গেছি। সরকার ১০০ স্পেশাল ইকোনমিক জোন করছে। আমরা আশাবাদী। এ কনফারেন্সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা এসেছেন। আলোচনা ও আইডিয়া শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমাদের ইস্পাত শিল্প এগিয়ে যাবে।
কনফারেন্সের প্রদর্শনীতে পিএইচপি ফ্যামিলি, বিএসআরএম, আরএসআরএম, আবুল খায়ের গ্রুপসহ অনেক দেশি প্রতিষ্ঠান সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, কেডিএস, শীতলপুর অটোস্টিল মিলস, বার্জার বেকার, এলিট গ্রুপসহ ভারতের রাঘব প্রোডাক্ট, জাপানের সুমিতুমু করপোরেশন, মিটস্যুই, নিপ্পন স্টিল, বিশ্ববিখ্যাত জার্মানির এসএমএস ও সিকন গ্রুপ, প্রাইমেটাল টেকনোলজি, ইলেক্ট্রোথাম, ব্যুমার, চায়নার সানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।
ভারতের স্টিল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অজয় থাম্বের সভাপতিত্বে সামিটে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ইস্পাতের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মুকুল, পিএইচপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসেন সোহেল, বিএসআরএমএর নির্বাহী পরিচালক তপন সেনগুপ্ত, ইকুইটি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. আইনূল হক, আবুল খায়ের গ্রুপের সিইও ভিএম শর্মা, আরএসআরএম গ্রুপের রাশেদ ইকবাল প্রমুখ।
‘রিভিউ অব আয়রন অ্যান্ড স্টিল মার্কেট গ্লোবাল পারস্পেকটিভ’ শীর্ষক বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. সেলিম উদ্দিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বেসিক স্টিল অ্যান্ড আয়রন ইন্ডাস্ট্রি যেটি হওয়ার কথা ছিল সেটি হয়ে ওঠেনি। অনেকে বলবেন, ১৯৭৫ সালের পর থেকে যে সরকারগুলো এসেছে তারা স্টিল যে শক্তির সূচক তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ওরা মনে করে স্টিলের বেসিক কাঁচামাল আমাদের দেশে নেই তাহলে স্টিল কমপ্লেক্স কীভাবে গড়ে তুলি। পৃথিবীর অনেক দেশে এটা নেই। যেমন জাপান। তারা আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভর করে বিশ্বের সেরা ৫ থেকে ১০ মধ্যে থাকছে। বাংলাদেশ ৭ মিলিয়ন টন ব্যবহার করছে। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোতে রপ্তানির লক্ষ্য নিলে দেশে স্টিল ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
** আন্তর্জাতিক স্টিল কনফারেন্স শুরু চট্টগ্রামে
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এআর/টিসি