মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরের কাঁচাবাজারগুলোতে সাধারণত দুই জায়গার ইলিশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ইলিশের বড় চালান আসে চাঁদপুর থেকে।
চাঁদপুর থেকে আসা পদ্মার ইলিশ স্বাদে অনন্য হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা থাকে বেশি।
নগরের ফিশারি ঘাটের আড়তদার হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ভর মৌসুমে ফিশারি ঘাটে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ কেজি ইলিশ বেচা-কেনা হয়। এর মধ্যে ৩০০-৩৫০ কেজি ইলিশই চাঁদপুর থেকে আসে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মাছের বাজারগুলোতে এখন প্রতিদিন ৫০০ কেজি ইলিশের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় জোগান কম থাকায় এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের দাম একটু বাড়তি। এজন্য বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করেন মাছের এ আড়তদার।
রোববার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে চাঁদপুর থেকে আনা ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ৯০০ টাকায়, ১ কেজি ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ১ হাজার ২০০ টাকায়, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়, দুই কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ৪০০ টাকায়, ৩ কেজি ওজনের ইলিশ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাট্টলী সৈকত এলাকা থেকে আনা ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ৬৫০ টাকায়, ১ কেজি ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ৮০০ টাকায়, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৯০০ টাকায় টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারের মাছ বিক্রেতা জাকের হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদুল আজহার বন্ধের পর মাছের বাজার এখন সরগরম। ক্রেতারা অন্যান্য মাছের চেয়ে ইলিশই চাইছেন বেশি। তবে দাম একটু বাড়তি থাকায় বিক্রিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
১০ হাজারে বিক্রি হলো ইলিশ!
কাজীর দেউড়ি বাজারে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৯০০ টাকায়!
বিক্রেতা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর থেকে আনা ইলিশটি কেজি প্রতি ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটির দাম পড়েছে ৯ হাজার ৯০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বের ০২, ২০১৮
এমআর/টিসি