ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লাইসেন্স থাকলে ফুল, না থাকলে জরিমানা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
লাইসেন্স থাকলে ফুল, না থাকলে জরিমানা! যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা প্রয়োজনীয় কাগজ ছিলো তারা পেয়েছেন ফুল। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাস চালাচ্ছিলেন, কেউ মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট পরেননি। কারও গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই, আবার কারও গাড়ির রুট পারমিটে সমস্যা।

নগরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা অধিকাংশ যানবাহনের এমন করুণ অবস্থাই ধরা পড়লো বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে।

শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) নগরের ওয়াসা মোড় ও নতুন ব্রিজ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর ও এস এম মনজুরুল হক।


নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।  ছবি: উজ্জ্বল ধরওয়াসার মোড়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ৫৭টি মামলা দেওয়া হয়।
এসব মামলার বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়াও ২৬টি গাড়ির কাগজ জব্দ এবং ৭টি গাড়িকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার, ফিটনেস সার্টিফিকেট-রুট পারমিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজবিহীন গাড়ির মালিককে জরিমানা গুণতে হলেও যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা প্রয়োজনীয় কাগজ ছিলো তারা পেয়েছেন ফুল।

বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজ সঙ্গে রাখা চালক-মালিকদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার নগরে দ্বিতীয় দিনের মতো বিআরটিএর পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় কাগজ না থাকায় বেশ কিছু যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলেও যাদের বৈধ কাগজ ছিলো তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি আমরা। সবাইকে যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজ সঙ্গে নিয়ে যানবাহন চালাতে উৎসাহিত করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।

এদিকে, নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট-রুট পারমিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকায় বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলার বিপরীতে ৬৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও ৩টি গাড়ির কাগজ জব্দ ও ৪টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানোর নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিআরটিএর পক্ষ থেকে গণপরিবহণসহ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছি। সড়কে শৃঙ্খলা না ফেরা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিআরটিএর পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা এলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ ধরণের অভিযান থেকে সুফল পেতে বিআরটিএর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও বৈধ কাগজহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির সদস্যদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ফিটনেস সার্টিফিকেট কিংবা রোড পারমিটের কাগজ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই দিনের পর দিন সড়কে দাপিয়ে বেড়াবে লক্কড়মার্কা বাস। ঝরতে থাকবে তাজা প্রাণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।