শুধু রিয়াজ উদ্দিন বাজার নয়, চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরেও ফাঁকা দেখা গেছে।
শুক্রবার ( ২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রিয়াজ উদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবচেয়ে বড় এ কাঁচাবাজারে দোকানিরা ঠিকই ফুলকপি, বাঁধাকপি, বরবটি, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, টমেটো, কাকরোল, তিতকরলাসহ বিভিন্ন সবজির পসরা সাজিয়ে বসে আছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের দিন বুধবার (২২আগস্ট) থেকে শুক্রবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টা পর্যন্ত অনেকটা ক্রেতাশূন্য ছিলো কাঁচাবাজার। সারাদিন মিলে হাতেগোনা কয়েকজন বাজার করতে আসেন। মূলত ঈদের সময় ও ছুটিতে সবাই বাড়িতে যাওয়ায় এ অবস্থা।
রিয়াজ উদ্দিন কাঁচাবাজারের দোকানি আবছার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিক্রেতার মধ্যেও অনেকে ঈদের ছুটিতে চলে গেছেন। রিয়াজ উদ্দিন বাজারে আমরা সব মিলিয়ে ২০ জনের মতো ব্যবসা করছি। অন্যসময় প্রায় ১০০ জন কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী থাকেন।
রিয়াজ উদ্দিন বাজারে বাঁধাকপি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়াও বরবটি ৮০, ঢ্যাঁড়শ ৬০, ঝিঙ্গা ৬০, চিচিঙ্গা ৩০, টমেটো ৮০, কাকরোল ৬০, তিতকরলা ৬০, শসা ৩০ ও বেগুন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাজীর দেউড়ি বাজারে ফুলকপির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম প্রায় সমান রয়েছে।
দাম বাড়তির বিষয়ে জানতে চাইলে কাজীর দেউড়ি বাজারে নুরুল হক নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ৫ দিন ধরে কোনো সবজি বাজার আসছে না। যেগুলো আসছে সেগুলো স্থানীয় পর্যায়ের। তাই সবজির দাম বাড়তি রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
ফুলকপি মাত্র আসতে শুরু করেছে, এ কারণে এর দাম ২০০ টাকা বলে জানান নুরুল হক।
এদিকে ফার্মের মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৩০ ও দেশি মুরগি ৪১০ টাকা।
মাছের বাজারে অাছে শুধু ইলিশ
রিয়াজ উদ্দিন বাজার, চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি বাজারে পুকুরের মাছ ছিলো একেবারে কম। যা ছিলো সবই ইলিশ মাছ। কয়েকজন দোকানি পুকুরের মাছ রাখলেও সেগুলো ছিলো ৫দিন আগের মাছ। তাও ছিলো বড় বড় রুই, কাতাল ও পাঙ্গাস মাছ।
রুই মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, কাতাল মাছ ৪০০ টাকা ও পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা। এছাড়া একটি এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
জেইউ/টিসি