শহরে নেই মানুষের চাপ, নেই যানজট। আর এ সুযোগে স্থবিরতা ভেঙে ফাঁকা সড়কে টগবগ করে চলছে ঘোড়া।
শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নগরের বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকা ঘুরে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। কয়েকটি গণপরিবহণ ও প্রাইভেট গাড়ি চললেও তার সংখ্যা একেবারে কম।
বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, অক্সিজেন, ২ নাম্বার গেইট, জিইসি, লালখান বাজার, দেওয়ান হাট, আগ্রবাদ, নিউ মার্কেট এলাকা পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার রেকর্ড রয়েছে চট্টগ্রামবাসীর।
তবে চলাচলের সেই চিরচরিত স্থবিরতা ভেঙে চট্টগ্রাম এখন গতির শহর। কোথাও আচমকা থামতে হচ্ছে না চলার পথে। কোনো ট্রাফিক নেই শহরজুড়ে। সিগন্যাল বাতিগুলো যেন হয়ে উঠেছে অপ্রয়োজনীয়। সড়কে যে কটি যানবাহন আছে তা চলছে দ্রুত গতিতে।
নগরের আগ্রবাদ থেকে কাজীর দেউড়ি আসার জন্য সকাল ১০টা ২১ মিনিটে লোকাল বাসে ওঠেন আমির উদ্দিন। কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত তার আসতে সময় লাগে মাত্র ১৩ মিনিট! কোনোভাবেই তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না- যে রাস্তা আসতে তার ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগে সেই রাস্তা মাত্র ১৩ মিনিটে এসেছেন তিনি!
আমির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কোথাও যানজট নেই, ট্রাফিক সিগন্যাল নেই, গণপরিবহণে হুড়োহুড়ি নেই। পুরো শহরটা যেনো অচেনা লাগছে। তবে বিষয়টি বেশ উপভোগ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাফাত জাহিন বলেন, শহরের এই গতিহীনতা আমাদের থামিয়ে দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়ন দৌড়ে। এখনকার মতো যদি সবসময় নির্বিঘ্নে চলাচল করা যেতো তাহলে মানুষ প্রতিদিন কাজ করার জন্য আরও ৩/৪ ঘণ্টা সময় বেশি পেতো।
ওয়াসা মোড়ে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে আমি এখানে দায়িত্বে আছি। এখন পর্যন্ত কোনো গাড়ির চাপ নেই। শনিবারও সড়ক এমন ফাঁকা থাকবে বলে ধারণা করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এমআর/টিসি