ঢাকা, সোমবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদের দিন চট্টগ্রামে আড়াই লাখ চামড়া সংগ্রহ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৩, আগস্ট ২২, ২০১৮
ঈদের দিন চট্টগ্রামে আড়াই লাখ চামড়া সংগ্রহ কোরবানি পশুর চামড়া সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ৫ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নামে চামড়া ব্যবসায়ীরা। তবে বুধবার (২২ আগস্ট) বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, বিবিরহাট, আসাদগঞ্জসহ নগরের বিভিন্ন চামড়ার আড়তে আড়াই লাখ চামড়া এসে পৌঁছেছে।

চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুসলেম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে ৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বুধবার (২২ আগস্ট) আড়াই লাখ চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব চামড়া বিক্রি হওয়ার পর গ্রাম থেকে বাকি আড়াই লাখ চামড়া নগরে ‍আনা হবে।

 যেগুলো গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে ‍রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ২২ ট্যানারির মধ্যে ২০ টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চামড়া শিল্পের প্রায় পুরোটাই ঢাকা কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

তাই ৫ লাখ চামড়া একসঙ্গে নগরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নগরের ভেতরে সংগ্রহ করা আড়াই লাখ চামড়া আড়তে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।  এগুলো সম্পূর্ণ বিক্রি হওয়ার পর গ্রাম থাকা বাকি আড়াই লাখ চামড়া আড়তে আনা হবে।

কাঁচা চামড়া আড়তদাররা জানান, এবারে গরুর প্রতিটি ভালো চামড়া ৭৫০ টাকা দরে ও  নিম্ন পর্যায়ের চামড়া ৫০০ টাকা দরে সংগ্রহ করা হয়েছে।  এছাড়া ছাগলের চামড়া ৪০-৫০ টাকা দরে সংগ্রহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ঈদুল আজহার প্রথম দিনেই সংগ্রহ করা আড়াই লাখ চামড়ার দাম ১০ কোটি ৫০ লাখ।  ৫ লাখ সংগ্রহ করার পর কারবার হবে প্রায় ২১ কোটি টাকার।  

তবে চামড়া ব্যবসায়ীরা লাভবান তখনই হবেন যখন ঢাকার ব্যবসায়ীরা এসব চামড়া ৪০-৫০ টাকা বাড়িয়ে কিনবেন।  

মুসলেম উদ্দিন বলেন, ঢাকার ব্যবসায়ীরা ৪০-৫০ টাকা বেশি দিয়ে কিনলে চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।

একাধিক চামড়া ব্যবসায়ী জানান, চট্টগ্রামে এক সময় ২২টি ট্যানারি থাকলেও নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে বর্তমানে মাত্র দুইটি ট্যানারি রয়েছে।  এর মধ্যে লিফ লেদার ঠিকঠাক ভাবে চললেও পরিবেশ অধিদফতরের নিষেধাজ্ঞায় মদিনা ট্যানারি বন্ধ।

মুসলেম উদ্দিন জানান, মদিনা ট্যানারিতে ইটিপি স্থাপনের কাজ চলছে।  তারা এবার চামড়া কিনবে।  কিন্তু এরপরও চট্টগ্রামের অন্তত ৮০ শতাংশ চামড়া ঢাকার মালিকদের নিকট বিক্রি করতে হবে। তাই তাদের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ীরা।

একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চট্টগ্রামে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির ১১২ জন সদস্যের পাশাপাশি আরো প্রায় ৭৫ জনের মতো ব্যবসায়ী রয়েছেন।  দুশ’ জনের মতো ব্যবসায়ীই মুলত চট্টগ্রামের পাঁচ লাখেরও বেশি চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে ঢাকার ট্যানারি মালিকদের সরবরাহ দেবেন।

তবে বিপত্তিটা ঢাকার ট্যানারি মালিকদের চামড়ার দর নিয়ে। একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকায়  ইচ্ছেমতো দর নির্ধারণ করে দেয়ায় চট্টগ্রামে চামড়া কেনা নিয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এতে অনেক জায়গায় চড়া দামে চামড়া কিনতে হতে পারে। যা পরোক্ষভাবে চামড়া নষ্ট করে ফেলবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।