প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চারটি শো থাকবে। প্লাটিনামে বাংলা টুডি ছবির টিকিট ৪০০ টাকা, থ্রিডি ৫০০ টাকা এবং নয়টি প্রিমিয়াম সিটের প্রতিটি ৬০০-৭০০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) প্রেস ব্রিফিং ও ‘আয়নাবাজি’ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হয় সিলভার স্ক্রিনের।
সিনেপ্লেক্সের অন্যতম উদ্যোক্তা ফারুক আহমেদ জানান, চট্টগ্রামের প্রথম সিনেপ্লেক্স ‘সিলভার স্ক্রিন’। আজ স্বপ্ন পূরণের দিন। এ স্বপ্ন শুধু উদ্যোক্তাদের নয়, চট্টগ্রামবাসীর। আমরা এখানে চেষ্টা করেছি একটি আন্তর্জাতিক মানের সিনেপ্লেক্সে যা যা থাকা প্রয়োজন সব কিছু স্বল্প পরিসরে যতটুকু সম্ভব রাখার চেষ্টা করেছি। অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে আমাদের অনেক কিছু মেনে নিতে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে অন্য কেউ অন্য কোথাও সেই সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে আসবেন।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, বেলজিয়াম থেকে নানা উপকরণ সংগ্রহ করতে হয়েছে এ সিনেপ্লেক্সের জন্য। দুইটি স্ক্রিন আনা হয়েছে হংকং থেকে। বেলজিয়ামের বারকো থেকে লেজার ডিজিটাল সিনেমা প্রজেক্টর আনা হয়েছে, যা বাংলাদেশে প্রথম।
দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, চট্টগ্রামের বিনোদনের জায়গা তেমন নেই। মাঠও নেই। যারা মাঠে যেতে পারে না তাদের জন্য সিনেমার চেয়ে ভালো আর কিছু নেই। ১৯৭১ সালের পর চট্টগ্রামে আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখিনি। বিদেশে প্রচুর সিনেমা দেখেছি। আশাকরি, সিলভার স্ক্রিনে সিনেমা দেখতে পারব।
দৈনিক পূর্বকোণের পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি সিলভার স্ক্রিনের উদ্যোক্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এ নগরে একটি সিনেপ্লেক্স উপহার দেওয়ার জন্য। প্রতিটি শহরে সিনেপ্লেক্স থাকে। এমনকি আগরতলায়ও সিনেপ্লেক্স পাবেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় চট্টগ্রামে ছিল না। সিলভার স্ক্রিন সেই প্রয়োজন মেটাল। ভালো ছবি আসলে মানুষ অবশ্যই দেখতে আসবে। আশা করব, আরও সিনেপ্লেক্স করবেন।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, নগরের উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু দরকার। কেউ তা অনুভব করে, কেউ তা অনুভব করে না। চট্টগ্রাম শুধু নয়, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষের সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে চাহিদাও বাড়ছে। মানুষের রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যারা উদ্যোগ নেন তারা সফল হন। রেডিসন ব্লু’র কারণে চট্টগ্রাম একদিনে আপগ্রেড হয়ে গেছে। টানেল উদ্বোধন হলে সারা দেশ আপগ্রেড হবে। আমার বিশ্বাস সিলভার স্ক্রিন চট্টগ্রামকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিল।
‘আয়নাবাজি’র বিরতিতে কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন বাংলানিউজকে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সব কিছু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। সিলভার স্ক্রিন আধুনিক সিনেমা হল। কিন্তু এত বড় শহরের তুলনায় আসন খুব কম। আশাকরি, এ হলের দেখাদেখি আরও অনেক আধুনিক সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠবে।
কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন একটি উন্নত হলের অভাব ছিল চট্টগ্রামে। যে হলগুলো ছিল সেখানে এত অব্যবস্থাপনা ও কারিগরি ত্রুটি ছিল যে ভালো ছবিও দেখতে পারছিল না দর্শক। সিলভার স্ক্রিন সেই অভাব পূরণ করল।
পরীক্ষামূলক চালুর প্রথম প্রদর্শনী উপভোগ করেন সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ, চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহেদ মালেক, বার্তা সম্পাদক একেএম জহুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক রইসুল হক বাহার, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল বাহার, কবি ওমর কায়সার, হাফিজ রশিদ খান, কামরুল হাসান বাদল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এআর/টিসি