ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ বছর পর বন্দরে এলো ৩টি গ্যান্ট্রি ক্রেন

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
১৩ বছর পর বন্দরে এলো ৩টি গ্যান্ট্রি ক্রেন ১৩ বছর পর বন্দরে এলো ৩টি গ্যান্ট্রি ক্রেন

চট্টগ্রাম: দ্রুত ও নিরাপদে কনটেইনার লোড-আনলোডের জন্য চীন থেকে তিনটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ বা ‘কিউজিসি’ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে বিশেষায়িত জাহাজ ‘এমভি জাইং জিন চেং হাই ইয়ং’।

এর মধ্য দিয়ে ১৩ বছর পর বন্দরে কিউজিসি যুক্ত হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৭টি কিউজিসি যুক্ত হবে বন্দরে।

সর্বশেষ বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডের জন্য এ ধরনের ‘শোর টু শিপ’ ক্যাটাগরির চারটি ক্রেন আনা হয়েছিল ২০০৫ সালে।

২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার চুক্তি সই করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৪৫ কোটি টাকায় চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পানি লিমিটেড থেকে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মাধ্যমে এসব ক্রেন আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে ক্রেনবাহী জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) তিনটি কিউজিসি নিয়ে জাহাজটি বহির্নোঙরে পৌঁছেছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম।

তিনি জানান, কিউজিসিগুলো অ্যাসেম্বল করতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। এরপর এগুলো দিয়ে এনসিটিতে অপারেশন শুরু করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ ধরনের আরও দুইটি ক্রেন বন্দরে আসবে।

১৩ বছর পর বন্দরে এলো ৩টি গ্যান্ট্রি ক্রেনকিউজিসি যুক্ত হওয়ায় খুশি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিক উদ্যোগে তিনটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। কয়েক মাসের মধ্যে আসবে আরও তিনটি। এরপর আসবে আরও চারটি। এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন কনটেইনার লোড-আনলোডে ব্যাপক গতি আনবে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে পারবে।   

গত ০৮ আগস্ট বিকেলে সচিবালয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ ও চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ কিং নতুন চারটি ৪০ টন ধারণক্ষমতার কিউজিসি ক্রেন সংগ্রহের চুক্তি সই করেন।   চারটি ক্রেনে ব্যয় হবে ২৩৮ কোটি ৬১ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, নতুন তিনটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন অপারেশন শুরুর পর জাহাজের গড় অবস্থান সময় কমে যাবে। গিয়ার জাহাজের চেয়ে কম ভাড়ার গিয়ারলেস জাহাজে কনটেইনার দ্রুততম সময়ে লোড-আনলোডের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আমদানি-রপ্তানিকারকেরা লাভবান হবে। তাদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমবে।  দিন শেষে লাভবান হবে বাংলাদেশ।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ৫টি জেটিসহ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালে কাজ শেষ হয়। এনসিটি নির্মাণে বন্দরের খরচ হয় ৪৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।   এরপর নানা জটিলতায় এনসিটি চালু করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালের অক্টোবরে এনসিটি চালু হয়। তবে কিউজিসি না থাকায় শুধু গিয়ার জাহাজই (ক্রেনযুক্ত) এ টার্মিনালের পাঁচটি জেটিতে কনটেইনার লোড-আনলোড করতে পারত। কিউজিসি যুক্ত হওয়ার পর এখানে গিয়ারলেস (ক্রেন ছাড়া) জাহাজেও দ্রুততম সময়ে এবং নিরাপদে কনটেইনার লোড-আনলোড করা সম্ভব হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।