ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণপরিবহন সংকটে দুর্ভোগ বাড়ছে চট্টগ্রামে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৮
গণপরিবহন সংকটে দুর্ভোগ বাড়ছে চট্টগ্রামে গণপরিবহন সংকটে দুর্ভোগ বাড়ছে চট্টগ্রামে। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দুয়েক দিনের টানা বিক্ষোভের কারণে ‘নিরাপত্তার’ নামে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে নগরে গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগ পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

শনিবার (০৪ আগস্ট) সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন সংকটে দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। নগরসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহণ রাস্তায় চলাচল করছে না।

তবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টেম্পো ও রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। যেটি প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য।

গণপরিবহন সংকটের কারণে নগরের অক্সিজেন এলাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ।  ছবি: উজ্জ্বল ধরবহদ্দারহাট মোড়ে গণপরিবহনের অপেক্ষায় থাকা রবিউল হোসেন রাসেল নামে এক যাত্রী বাংলানিউজকে জানান, যথারীতি আ্রগাবাদে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েছি। কিন্তু রাস্তায় এসে দেখি কোন বাস নেই। শত শত যাত্রী বহদ্দারহাট মোড়ে বাসের অপেক্ষায় রয়েছে। কোন বাস নেই। এদিকে, অফিসের সময়ও পার হয়ে যাচ্ছে। খুব সমস্যায় পড়ে গেলাম।    

একইভাবে, নগরের মুরাদপুর, চকবাজার, ২ নম্বর গেইট, কালুরঘাট, আন্দরকিল্লা, নিউ মার্কেট, কাজিরদেউরি, অক্সিজেন, শাহ আমানত সেতু এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। নগরের বেশিরভাগ দূরপাল্লার কাউন্টার বন্ধ রাখার কারণে কিছু কিছু যাত্রীকে কাউন্টারের সামনে ফিরে যেতে দেখা গেছে।  
গণপরিবহন সংকটের কারণে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ।  ছবি: বাংলানিউজকোন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়নি উল্লেখ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চলীয় সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিরাপত্তার অভাবে হয়তো চালকরা গাড়ি চালাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা যেহেতু সড়কে গাড়ি থামিয়ে বৈধ কাগজপত্র ও লাইন্সেস দেখছে, তাই হয়তো অনেকে গাড়ি রাস্তায় নামায়নি। যাদের ড্রাইভিং লাইন্সেস ও বৈধ কাগজপত্র নেই।  তবে আামরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ধর্মঘট ডাকিনি। চালকরা নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে চালকরা গাড়ি চালাচ্ছেন না। ’

পাশাপাশি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোন বিরোধে না যাওয়ার জন্য পরিবহন সেক্টরের সকলকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান এ পরিবহন শ্রমিকনেতা।  

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে একটির চাপা পড়ে দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এরপর কিছু গাড়ি ভাঙচুর হয়। রাস্তায় শিক্ষার্থীরা চালক ও গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি করে; এক পর্যায়ে ‘নিরাপত্তা’র অজুহাতে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক-শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।