মঙ্গলবার (৩১ জু্লাই) সকাল ১১টায় নগরের গরীবুল্লাহ শাহ মাজার গেইট এলাকায় হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ঘেরাও করা হয়।
সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন পায়েল হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি আয়োজন করে।
হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে সমাবেশ করেন তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, পায়েল কোনো দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেনি। পায়েলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পায়েল হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিও জানান বক্তারা।
পায়েলের বাবা গোলাম মাওলা দ্রুত বিচার আইনে পায়েলের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। দোষীদের শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
সমকালের ব্যুরো প্রধান সরোয়ার সুমনের পরিচালনায় সমাবেশে একাত্মতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন, নগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চু, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি।
গত ২১ জু্লাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হয় পায়েলকে। ২৩ জু্লাই গজারিয়া থেকে পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সারোয়ারদী বিপ্লব বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন (৩৫), সুপারভাইজার জনি (৩৮) ও হেলপার ফয়সালকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৫ জুলাই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর জনি ও জামাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে, কত নির্মমভাবে তারা পায়েলকে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জু্লাই ৩১, ২০১৮
এসকে/টিসি