সনজিত কুমার দে করলডেঙ্গা ইউনিয়নের আহলা ধলঘাট গ্রামের আহলা ধলঘাট এলাকার খগেন্দ্র লাল দে’র ছেলে। তিনি কালুরঘাটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
সনজিত কুমার দে’র বিরুদ্ধে বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন, থানা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন সময় শ্লীলতাহানির অভিযোগ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু এসব অভিযোগে তেমন কোনো বিচার হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই ১৮ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সনজিত কুমার দে’র বিরুদ্ধে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন ছাত্রীটির মা। বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি বোয়ালখালী থানায় পাঠিয়ে দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অনুরোধ করেন। কিন্তু এখনও অভিযোগটির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বারবার পার পেয়ে যান তিনি।
ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাংলানিউজকে অভিযোগ করে বলেন, ‘সনজিত কুমার দে প্রকাশ চৌধুরী’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও বিচার পাচ্ছি না। তিনি এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় দিন দিন অপকর্মের মাত্রা বেড়ে চলেছে। অনেকে ভুক্তভোগী হলেও তার ভয়ে কারো কাছে অভিযোগ করার সাহস পান না। ’
বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ‘সনজিত কুমার দে প্রকাশ চৌধুরী’র বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি দেখতে পারিনি। দ্রুত ব্যবস্থা নেব। ’
করলডেঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. হারুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্থানীয় সনজিত কুমার দে’র বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ’
করলডেঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বাবুল দে বাংলানিউজকে বলেন, ‘সনজিত কুমার দে’র বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ রয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় তার কোনো বিচার হয় না। ’
তিনি দায়িত্বপালনকালে ২০১৫ সালেও তার বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলেও গ্রাম্য সালিশে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেওয়া যায়নি। ’
বিভিন্ন সময় সনজিত কুমার দে‘র বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতো বলে জানান বাবুল দে।
সনজিত কুমার দে‘র ছেলে সুমন দে (২৫) গত জানুয়ারিতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে বোয়ালখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সনজিত কুমার দে সঙ্গে সংবাদকর্মী পরিচয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততা দেখিয়ে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
আবার যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তিনি পরে এই প্রতিবেদককে কল করবেন বললেও যোগাযোগ করেননি। পরে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এসকে/টিসি