ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশের ১ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস বহন করছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
দেশের ১ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস বহন করছে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ‌বক্তব্য দেন ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।

চট্টগ্রাম: দেশের কোটি  মানুষ হেপাটাইটিস ভাইরাস বহন করছে। এ ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে দরকার সার্বিক সচেতনতা। রোববার (২৯ জুলাই) বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ‌এ দাবি করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) লিভার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।

নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত সভায় হেপাটাইটিস রোগ কি? কিভাবে সংক্রমিত হয়, এর ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, হেপাটাইটিস একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা।

বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৩২ কোটি লোক হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত। অথচ তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি মানুষই নিজের শরীরে এ রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে জানেন না।
সারাবিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৩ লাখ লোক হেপাটাইটিস ভাইরাসে মারা যায়।  

‘যেটি এইডস কিংবা ম্যালেরিয়া রোগে মৃত্যুর চেয়েও বেশি। লিভার ক্যান্সারে মারা যাওয়া প্রতি তিনজনের দুজনই হেপাটাইটিস বি বা সি-তে আক্রান্ত থাকে। দেশে প্রায় ১ কোটি হেপাটাইটিস ভাইরাস বহন করছে’ বলেন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।  

তিনি জানান, আমাদের দেশের শতকরা প্রায় ৫ ভাগ মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের বাহক।   তাদের কারও কারও বিভিন্ন সময়ে লিভারের জটিল রোগ হচ্ছে। এ দেশের প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ গর্ভবতী মহিলা হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত।   এ ভাইরাস তাদের নবজাতকের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এমনকি বাংলাদেশের শতকরা ১ ভাগ লোক হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের বাহক। যাদের অধিকাংশই জানেন না তারা কি রোগে ভুগছেন?

তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ ও ই রোগ সেরে যায়। এক্ষেত্রে ভীত হয়ে কোনরকম ঝাড়-ফুঁক বা এ জাতীয় অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

নিরাপদ পানি ও খাবার গ্রহণ, নিরাপদ রক্ত গ্রহণ, নিরাপদ যন্ত্রপাতি ও সুই ব্যবহার, নিরাপদ যৌন মিলন এবং শিরায় মাদক গ্রহণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে হেপাটাইটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, হেপাটাইটিস বি ও সি রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল বিধায় আমাদের মত দেশে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করাই ভালো। বর্তমানে হেপাটাইটিস সি রোগের প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত না হলেও কার্যকর প্রতিষেধক টিকা গ্রহণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।