রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাজে ১ হাজার ৩০৯ জন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োজিত। এদের জন্য ‘পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস’ শীর্ষক এ প্রকল্প গ্রহণ করে চসিক।
আরও খবর>>**পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য ২৩১ কোটি টাকায় ১৩০৯টি ফ্ল্যাট
একনেকের এ সভায় ‘বিশেষ আমন্ত্রণে’ চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নিজেই উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য ‘পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেবকদের জীবনমান উন্নত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা অনুসারে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা অনুসারে ২৩১ কোটি ৪২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিলো। প্রকল্পে মোট ব্যয়ের মধ্যে ৮০ ভাগ সরকারি ফান্ড (জিওবি) এবং ২০ ভাগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বহন করবে। ’
এ প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে সেবকদের জীবনযাত্রার মান যেমনি বাড়বে তেমনি সিটি করপোরেশনের সেবাকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যোগ করেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বর্তমানে নগরের মাদারবাড়ি, ফিরিঙ্গিবাজার, বান্ডেল রোড ও ঝাউতলায় চসিকের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে গাদাগাদি করে পরিচ্ছন্নকর্মীরা থাকেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, নগরের ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজারের বান্ডেল কলোনিতে ৩টি, ফিরিঙ্গিবাজারে ১টি, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের ঝাউতলায় ২টি এবং সাগরিকায় চসিকের নিজস্ব জায়গা ১টি ভবন নির্মাণ করা হবে। চসিকের ৭৩ হাজার ২১৩ বর্গমিটার আয়তনের জায়গায় ১ হাজার ৩০৯ পরিবারের জন্য এসব ভবন নির্মাণ করা হবে।
নগরবাসীদের সেবা প্রদানের লক্ষে পরিচ্ছন্নকর্মীদের উন্নত জীবনযাপনের ব্যবস্থাকরণ, তাদের দারিদ্রতা দূরীকরণ ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা–ই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে পরিচ্ছন্নকর্মীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণসহ বাসস্থান, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। নির্মিতব্য এসব ভবনে বসবাসকারী পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকবে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, দুটি বাথরুম। প্রতিটি ভবনে থাকবে দুটি লিফট।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস’ শীর্ষক এ প্রকল্পে ২৩১ কোটি ৪২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি ফান্ড (জিওবি) থেকে ১৮৫ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং চসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৬ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। ২ বছরের মেয়াদের এ প্রকল্পে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জিওবি থেকে ১০৬ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ও চসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৬ কোটি ৭২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ও চসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশন থেকে প্রকল্পটি ডিপিপি (পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাব) পেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় অনুমোদন পেয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এসবি/টিসি