‘পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি রোববার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে।
নগরে চসিকের নিজস্ব ভূমির ৮টি স্থানে ২ হাজার ৪৬১ পরিবারে ৩ হাজার ৪৬৩ জন সেবক বসবাস করেন।
এদের জন্য ১৪ তলা বিশিষ্ট সাতটি ভবনে ১ হাজার ৩০৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় অনুমোদন পেয়েছিল প্রকল্পটি।
শহরকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সেবকদের অবদান বেশি উল্লেখ করে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন,
বংশপরম্পরায় তারা প্রায় দুইশ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। সেবকদের জীবনমান উন্নত করার লক্ষে 'পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস' শীর্ষক এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৪ তলা বিশিষ্ট সাতটি ভবনে ১ হাজার ৩০৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। নগরে তারা এখন যে ভবনগুলোতে থাকেন, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। ছোট রুমে গাদাগাদি করে থাকেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে সেবকদের এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আরও বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নকর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নত হবে। সেবকরা যদি নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে পারেন সেক্ষেত্রে কাজের প্রতি সেবকরা আরও বেশি আন্তরিক হবেন। প্রকল্পটি শহরকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, বর্তমানে নগরের মাদারবাড়ি, ফিরিঙ্গিবাজার, বান্ডেল রোড ও ঝাউতলায় পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য চসিকের নির্মিত ভবন রয়েছে। সেগুলোর বেশিরভাগ ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যা বাসযোগ্য নয়।
এদিকে, রোববার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত একনেক সভায় বিশেষ আমন্ত্রণে একনেক সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নিজেই উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, চসিকের গৃহীত প্রকল্পের আওতায় পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য ১৪ তলা বিশিষ্ট ৭টি ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে ১ হাজার ৩০৯টি ফ্ল্যাট থাকবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত।
নগরবাসীদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নকর্মীদের উন্নত জীবনযাপনের ব্যবস্থাকরণ, তাদের দারিদ্র দূরীকরণ ও আর্থসমাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা–ই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে পরিচ্ছন্নকর্মীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণসহ বাসস্থান, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
নগরের ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজারের বান্ডেল কলোনিতে ৩টি, ফিরিঙ্গিবাজারে ১টি, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের ঝাউতলায় ২টি এবং সাগরিকায় চসিকের নিজস্ব জায়গা ১টি ভবন নির্মাণ করা হবে। নির্মিতব্য এসব ভবনে বসবাসকারী পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকবে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, দুটি বাথরুম। প্রতিটি ভবনে থাকবে দুটি লিফট।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এসবি/টিসি