রোববার (২২ জুলাই) আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন বলে বাংলানিউজকে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বন্দর থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) বিকাশ সরকার।
আর খবর>>** যুবলীগকর্মী খুন, আওয়ামী লীগনেতাসহ আসামি ১৭
অভিযোগপত্রে আসামি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল, তার ভাই মুরাদ, বিপ্লব, ডিউক, আজাদ, শেখ মহিউদ্দিন, মাহিব, আজগর, জিসান সহ মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিকাশ সরকার বলেন, আসামিদের মধ্যে ৯ জন কারাগারে রয়েছেন। হাজী ইকবালসহ ১১ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
গত ২৬ মার্চ নগরের সল্টগোলা ক্রসিংয়ের মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি সভা চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে যুবলীগকর্মী মো. মহিউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
জানা যায়, নগরীর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন নিহত মহিউদ্দিন। যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও কোন পদে ছিলেন না। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভাসমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন মহিউদ্দিন।
একই এলাকায় তাদের বিরোধী গ্রুপে ছিলেন জাতীয় নির্বাচনে বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল। যিনি ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে নগরীর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘হায় মুজিব হায় মুজিব’ মাতমে নিজের শরীর থেকে কথিত রক্ত ঝড়ানোর চেস্টায় জিঞ্জির চাকু দিয়ে আঘাত করে শিয়াদের মতো মাতম করে আলোচনায় আসেন।
যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাজী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রায় সময় স্ট্যাটাস দিতেন। এর দ্বন্দ্ব থেকেই মহিউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এসকে/টিসি