ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উন্নয়ন ১০০ মাইল গতিতে হলে বন্দরের গতি হতে হবে ১৫০

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
উন্নয়ন ১০০ মাইল গতিতে হলে বন্দরের গতি হতে হবে ১৫০ বক্তব্য দেন চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম

চট্টগ্রাম: ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়নের গতি ১০০ মাইল হলে বন্দরের গতি ১৫০ মাইল হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বুধবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন, গতিশীলতা বৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমাধানের লক্ষ্যে বন্দর চেয়ারম্যান কমোডোর জুলফিকার আজিজের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মাহবুবুল আলম এ মন্তব্য করেন।  

বন্দর ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চেম্বার সভাপতি বিভিন্ন শিপিং এজেন্ট কর্তৃক ডকুমেন্টেশনসহ নানান চার্জ আদায় বন্ধ করা, কনটেইনারের সিকিউরিটি মানির নামে ৫ হাজার টাকা জমা বন্ধ করা, ম্যানিফেস্টেড কার্গো নিয়ে কোনো জাহাজ যাতে বন্দর ত্যাগ না করে তা নিশ্চিত করা, কিছু আইসিডিতে কনটেইনারের অতিরিক্ত হ্যান্ডলিং চার্জ বন্ধ করা, সদরঘাটে নির্মিত লাইটার জেটির অপারেশন শুরু করা, নির্মাণাধীন লাইটার জেটিগুলোতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, স্পেশাল পারমিশনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ বাতিল করা, বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করাসহ লালদিয়া, পতেঙ্গা এবং বে-টার্মিনাল নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে শেষ করার আহ্বান জানান।

বন্দর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানোর জন্য নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে অনৈতিকভাবে শিপিং এজেন্ট কর্তৃক কোনো ধরনের চার্জ আদায় করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি শিপিং এজেন্ট কর্তৃক ডিও ইস্যু বিকেল ৫টার পরও অব্যাহত রাখা, বার্থিং তারিখের পরিবর্তে জাহাজ থেকে সম্পূর্ণ পণ্য খালাসের পর বন্দরের কমন ল্যান্ডিং থেকে ফ্রি টাইম কাউন্ট করাসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রণীত আইসিডি নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ, স্পেশাল পারমিশনের নামে কোনো ধরনের চার্জ আদায় এবং সাধারণ কার্গোর ক্ষেত্রে শিপিং এজেন্ট কর্তৃক সিকিউরিটি মানি জমা রাখা যাবে না বলে উল্লেখ করেন।

পাশাপাশি বন্দরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সদরঘাটে নির্মিত লাইটারেজ জেটি অপারেশন শিগগির শুরু এবং বে টার্মিনাল এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ইয়ার্ড নির্মাণের মাধ্যমে কনটেইনার ডেলিভারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যা বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে জানান। একই সঙ্গে ম্যানিফেস্টেড কার্গো রেখে জাহাজ বন্দর ত্যাগ না করা ও কনটেইনারের ডেমারেজ চার্জের ক্ষেত্রে এ লক্ষ্যে গঠিত কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

মতবিনিময় সভায় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. শাহরিয়ার জাহান ও তরফদার মো. রুহুল আমিনসহ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আক্তার হোসেন, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধি ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানে বন্দর চেয়ারম্যানের কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক লক ও সিল বিধিমালা কার্যকর হলে বন্দরের গতিশীলতা হ্রাস এবং পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ বাড়বে বলে মতামত ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও বন্দর চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।  

‘ইলেকট্রনিক সিল’ বাতিল চেয়ে ২ চেম্বার সভাপতির চিঠি

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।