শনিবার (০৭ জুলাই) নতুন ফিশারিঘাটে মৎস্য ব্যবসায়ী, মৎস্যজীবী ও জেলেদের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান সামুদ্রিক মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
সভায় মেরিন ফিশারিজের কর্মকর্তারা বলেন, বিশাল সামুদ্রিক সীমা অর্জনের পর সরকার এ সেক্টরের সঙ্গে জড়িত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।
দেশের উপকূলীয় ১৬ জেলার ৬৫ উপজেলার মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের প্রথম পাঁচ বছরে তথ্য সংগ্রহ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জেলেদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরণের কাজ করা হবে। পরবর্তী সাত বছর অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হবে।
এজন্য সুফলভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের মতামত গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে মাঠ পর্যায়ের মৎস্য ব্যবসায়ী, মৎস্যজীবী, জেলেসহ এ সেক্টরের সঙ্গে জড়িত সব মানুষ উপকৃত হতে পারে।
সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সরকারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সামুদ্রিক মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক ড. এ কে এম আমিনুল হক, বিশ্বব্যাংক প্রজেক্টের টিম লিডার নাসির উদ্দিন মো. হুমায়ুন, বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প পরিচালক হাসান আহমেদ চৌধুরী, সামুদ্রিক মৎস্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. আবুল হাসানাত, মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্টের পরিচালক ড. মো. শরীফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোমিনুল হক, এফএও বিশেষজ্ঞ পাউল ফিনিং, সামুদ্রিক মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ফারজানা লাভলী, সুমন বড়ুয়া, সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নগরের চাক্তাই ও রাজাখালী খালের মধ্যবর্তী এবং কর্ণফুলী নদীর পাড়ে নতুন ফিশারিঘাটের অবস্থান। প্রায় ৪ একর ভূমির ওপর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এটি চালু হয় ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতি এ ফিশারিঘাটের সার্বিক তদারকি করছে।
বাংলাদেশে মাছের বৃহত্তম পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত নতুন ফিশারিঘাটে দৈনিক ১০০ মেট্রিক টন থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ মেট্রিক টন মাছ বিক্রি হয়। যার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বন্দরের নিজস্ব ভূমিতে এ বাজারটি তৈরি করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়:২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এমআর/টিসি