ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমেক হাসপাতালের ওষুধ বাইরে বিক্রি, গ্রেফতার ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৮
চমেক হাসপাতালের ওষুধ বাইরে বিক্রি, গ্রেফতার ১ বিনামুল্যের ওষুধ বিক্রির অপরাধে দীপক দাশ নামে এক ফার্মেসি মালিককে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা বিনামুল্যের ওষুধ বিক্রির অপরাধে দীপক দাশ (৫২) নামে এক ফার্মেসি মালিককে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (০৬ জুলাই) দিবাগত রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানার গ্রীনভ্যালী আবাসিক এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার ফার্মেসিতে তল্লাশী চালিয়ে এক কার্টুন সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া দীপক দাশ গ্রীনভ্যালী মেডিসিন কর্ণারের মালিক। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম নলুয়া এলাকার ব্রজেন্দ্র দাশের ছেলে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অসাধু চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যোগসাজসে এসব ওষুধ বিক্রি করেন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কতিপয় অসাধু চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট হাসপাতালের কর্মচারী কাওছার হোসেনের মাধ্যমে এসব ওষুধ বাইরের ফার্মেসিতে সরবরাহ করে। দীর্ঘদিন ধরে এসব ওষুধ বাইরে বিক্রি হচ্ছে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানার গ্রীনভ্যালী আবাসিক এলাকা থেকে বিপুল সরকারি ওষুধসহ দীপক দাশকে গ্রেফতার করেছি।

জব্দ হওয়া ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্রোসাই ক্লিডিন হাইড্রোক্লোরাইড ইনজেকশন, সেফরাডিন ক্যাপসুল, ওমেপ্রাজল ক্যাপসুল, হিপনোফাস্ট, ইজেকশন, নোবেসিট, ইটোরেক, কনসুকন ও ডিজমা। এসব ওষুধের গায়ে ‘সরকারি সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’ লেখা আছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আরও  বলেন, গ্রেফতার হওয়া দীপক দাশ এসব ওষুধ কীভাবে পান সে সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন। কাওছার হোসেন নামের এক হাসপাতাল কর্মচারী তাকে এসব ওষুধ সরবরাহ করেন বলে জানিয়েছেন।

কাওছার ও জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রির সঙ্গে হাসপাতালের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮

এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।