শনিবার (০৭ জুলাই) চট্টগ্রাম ওয়াসার ৪৭তম বোর্ড সভায় ওয়াসা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
প্রফেসর ড. এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, নগরের হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জণ্ডিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, সেসব পাইপ লাইন দিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা পানি সরবরাহ করে তাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব পাইপ লাইন দিয়ে হ্যাপাটাইটিস-ই ভাইরাস সংক্রমণের কোন সম্ভাবনা নেই। সুতরাং নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা ওয়াসার পানি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন। নিজেদের বাসা-বাড়ির রিজার্ভার পরিষ্কার রাখুন। কারও তথ্য-প্রমাণহীন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।
সভায় নগরবাসীকে সচেতন করতে চট্টগ্রাম ওয়াসার পদক্ষেপের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বোর্ড সদস্য তপন চক্রবর্তী।
এ বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ জানান, ওয়াসার পক্ষ থেকে কয়েকটি দল গঠন করে হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তারা পানির নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন, রিজার্ভার পরিষ্কার রাখতে নির্দেশনাসহ লিফলেট বিতরণ করেন।
নগরবাসীকে আরও সচেতন করতে ওয়াসার এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।
সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার লিকেজ জনিত অপচয় রোধ করে ২৫ শতাংশ থেকে অন্ততঃ ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও ভাণ্ডাল জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং কর্ণফুলি ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্যরা।
সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য মো. জহুরুল আলম, শওকত হোসেন, এ এফ কবির আহমেদ মানিক, আবিদা আজাদ, এ এম আনোয়ারুল কবির, জাফর আহমেদ সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
হালিশহরে রিজার্ভারের পানি জীবাণুমুক্ত করা জরুরি
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এমআর/টিসি