কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি।
অবশ্য কাস্টম হাউসের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪৮ হাজার ৮৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ১৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ঘাটতি প্রায় ৬ হাজার ৭০৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তবে গত বছর ওই দিন পর্যন্ত আদায় হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৪৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ওই হিসাবে বাড়তি আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
কাস্টম হাউসের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে অনেক বিষয় সম্পর্কিত। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্য থেকেই মূলত কাস্টম হাউস রাজস্ব আদায় করে থাকে। এ বন্দর দিয়ে দেশের মোট আমদানি-রপ্তানির ৯৩ শতাংশ পরিবাহিত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দরপতন, অভ্যন্তরীণ বাজারে কোনো পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া, বন্ড সুবিধা, শুল্কমুক্ত সুবিধা, শুল্কহার, এসআরওসহ অনেক বিষয় রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে জড়িত। লক্ষ্যমাত্রা সব সময় অর্জিত হওয়ার চেয়ে বড় কথা হলো আগের অর্থবছরের চেয়ে কত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলো।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ হাজার ৮৬৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ছুটির দিনও খোলা রেখেছি। তারপরও হয়তো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। তারপরও আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের মূল লক্ষ্য দেশে ট্রেড ফ্যাসিলিটি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়ানো।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এবার আমরা প্রায় ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এর আগে এক বছর সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৮
এআর/টিসি