ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আসামি ‘ধরতে’ যাওয়া পুলিশকে গুলি, আহত ৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
আসামি ‘ধরতে’ যাওয়া পুলিশকে গুলি, আহত ৬

চট্টগ্রাম: বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা এলাকায় ‘আসামি ধরতে’ গিয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের গুলি বিনিময়ে পুলিশ ও আনসারসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

তারা চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহতদের মধ্যে বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফ, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব, আনসার সদস্য দিদারের নাম পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) ভোরে বাঁশখালীর গণ্ডামারার পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পু্লিশ জহির (৪৮) ও তার চাচাত ভাই মইনুকে (৩৮) আটক করেছে বলে জানিয়েছে পু্লিশ সূত্র।

স্থানীয়রা জানান, গণ্ডামারার পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় জহিরকে আটক করতে বাঁশখালী থানা পু্লিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় জহিরের বাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তার লোকজন। পরে জহির ও তার ভাইকে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে আবার পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশ-আনসারসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়।

চট্টগ্রাম জেলা পু্লিশ সুপার (এসপি) নুরেআলম মিনা বাংলানিউজকে বলেন, বাঁশখালীর ঘটনা সম্পর্কে থানার ওসি জানেন। তিনি সিনিয়র অফিসারদের বিষয়টি জানাননি। ওই ঘটনায় পাবলিক রিঅ্যাকশন যা হয়েছে তার দায়িত্ব ওসির।

ঘটনার বিষয়ে জানতে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. সালাউদ্দীন হীরাকে বারবার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি সংযোগ কেটে দেন।

এ বিষয়ে আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মফিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আসামি ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফ, এএসআই বিপ্লবসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জহির ও মইনু নামে দুইজনকে আটক করেছে বলে জানান এএসপি।

আনসার সদস্যরা পুলিশের কাজে সহযোগিতা করছিলেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।